সর্বশেষঃ

ভোলায় সহপাঠীর ছবি না দেওয়ায় পরীক্ষার্থী কে পিটিয়ে আহত করেছেন বখাটেরা

ভোলায় বখাটদের হামলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আহত ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত বখাটদের বিরুদ্ধে ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে অবস্থিত চর পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মিলন (১৬) নামে এক শিক্ষার্থীকে স্থানীয় মালের হাট বাজার সংলগ্ন এক নিঝুম জায়গায় গতকাল সন্ধ্যায় হামলা চালান একদল বখাটে কিশোর। অভিযুক্ত বখাটেরা হলেন দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের সেলিম বাউস এর ছেলে মোঃ ফরহাদ হোসেন (১৯) একই গ্রামের আলী হোসেন ঘোষ এর ছেলে সোহাগ (১৮) ও আবু কালাম জাগিরদার এর ছেলে মমিন (১৮)।

আহত ওই শিক্ষার্থী জানান তার সাথের সহপাঠী ছাত্রীদের ছবি চেয়েছিলেন ফরহাদ। মিলন ওই ছবি দিতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে মিলন ও ফরহাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় ফরহাদ সোহাগ ও মমিন তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

এদিকে বখাটদের উপযুক্ত বিচারের দাবি জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বখাটদের উপযুক্ত বিচার না হলে আগামীকাল শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করবে বলে জানান।

অভিযোগ রয়েছে ফরহাদ সোহাগ ও মমিনসহ একদল বখাটে স্থানীয়দের ছত্রছায়ায় দিনদিন নানান অপকর্ম করে চলছেন। স্থানীয় বিচারকদের বিচারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নানান অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন ওই বখাটেদল।

জানা যায়, কিছুমাস আগেও হালিমা খাতুন স্কুল এন্ড কলেজের এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করায় ফরহাদকে জনসমক্ষে জুতাপিঠা করাও হয়েছে। এতকিছুর পরেও থেমে নেই তার অপকর্ম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ইউপি সদস্য বলেন, ফরহাদ সোহাগ মমিনসহ একদল বখাটদল একযোগ হয়ে স্থানীয় স্কুল মাদ্রাসা চলাকালীন সময় স্কুল মাদ্রাসার সামনে মোটরসাইকেল মহড়া দেন। এবং ছাত্রীদেরকে অশ্লীল ভাষায় নানান কথাবার্তা বলেন।

অভিযুক্ত বখাটেরা ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্তদের পিতামাতা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল রহমান রিপন জানান শুধু গতকালের ঘটনা ই নয়। পূর্বেও তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারও হয়েছে। তবুও থেমে নেই তাদের অপকর্ম।

তিনি আরো জানান, অতি দ্রুত গতকালের ঘটনায় জড়িতের উপযুক্ত শাস্তি না হলে আগামীকাল বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হবে।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রতন কুমার শীল জানান গতকাল রাতে আহত ওই শিক্ষার্থীকে দেখেছি তার বক্তব্যও শুনেছি। আজ সকালে ওই বিদ্যালয়ে ফোর্স পাঠিয়েছি তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।