ভোলার কাচিয়ায় ভাগ্যের চাকা খুললো অসহায় দরিদ্র ১৭১ পরিবারের
ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে উম্মক্তভাবে বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধদের লাইনে দাড়িয়ে প্রাপ্তকারিদের কাছ থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্টানে অসহায় দরিদ্র বয়স্ক, বিধবা প্রতিবন্ধি ভাতার কার্ড সংগ্রহকালে ১৭১ জন পরিবারের ভাগ্যের চাকা খুললো। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় স্থানীয় কাচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বার বার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম নকিব এর পরিচালায় যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করেন ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারেফ হোসেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সামাজিক নিরাপত্তা কূমসূচির অধিনে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ৫৪ জন বয়স্ক, ৫২ জন প্রতবন্ধি বিধবা ৬৫ জনসহ ১৭১ জনকে ভাতা প্রধান করার লক্ষ্যে কাচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে উন্মুক্ত ভাবে প্রাপ্তকারিদের লাইনে দাড় করিয়ে অসহায়, দরিদ্র বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধিদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করেন ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারেফ হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, কাচিয়া ইউনিয়নে দায়িত্বরত সমাজ কর্মি ফাতেমা বেগমসহ সার্বিক সহযোগিতায় উচ্চমান সহকারি হুমায়ুন কবির, ইউনিয়ন সমাজ সেবা শেখর বাবু। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ এর যুগ্ন আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম তুহিন, সাবেক ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম রহমান রুবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সদস্য মোঃ জামিল হোসেন, আরিফ হোসেন রাঢ়ি স্থানীয় মেম্বার মালেক, সবুজ, মনিরসহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন বলেন, যাদের বয়স হয়েছে, যারা কোন কাজ কর্ম করতে পারেন না, যাদের স্বামী নেই সেই সমস্ত ব্যক্তিদেরকে যাচাই বাছাই করে যোগ্যদের মাঝে ভাতার কার্ড বুজিয়ে দিব আমরা। অসহায় দরিদ্রের মাঝে কার্ড বিতরণে কোন রকমের কোন দূর্নীতি যেন না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টের সজাগ থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি ভাতার কাড যাচাই বাছাইতে যেন কোন প্রকার অনিয় বা স্বজনপ্রীতি না হয় সে ব্যাপারে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি দায়িত্বরতদের বলেন, বঞ্চিতারাই যেন কার্ডটি পায়। আমি বেচে থাকতে কোন অনিয়ম হতে দিব না; আমি অনিয়ম পছন্দ করি না। যারা পাওয়ার যোগ্য তারাই পাবে ইনশাল্লাহ।
কাচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নকিব বলেন, ভোলা সদর উপজেলায় এই অসহায় দরিদ্রদের ভাতার কার্ড বিতরণে কোথায় যেন কোন রকমের দূর্ণীতি না হয় সে জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান আমার ভাই নিজে স্পটে গিয়ে যোগ্যদের কাছ থেকে কার্ডগুলো সংগ্রহ করেন।
তিনি আরো বলেন, অসহায় দরিদ্রের ভাতার কার্ড নিয়ে যারা বানিজ্য করবে তাদের বিচার আল্লাহপাক করবে। তারা কোথায় ভালো থাকতে পারবেনা। কারন এই কার্ডটি পাওয়ার হক একমাত্র যারা অসহায় তারা। এই সমাজে কিছু দুস্ট লোকজন আছে যারা অসহায় পরিবারগুলোর হাত থেকে টাকার বানিজ্য করে তাদেরকে কার্ড পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে তাদেরকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে। যারা অসহায় দরিদ্র পরিবারগুলোর কাছ থেকে টাকা নিবেন তাদের উপর আল্লাহর গজব নাজিল হবে।