ভোলার ধনিয়ায় গাছ কাটায় বাঁধা দেয়ায় বৃদ্ধ মহিলাকা পিটিয়ে জখম

ভোলার ধনিয়া ইউনিয়নের চেউয়াখালি গ্রামে জমির গাছ কাটায় বাঁধা দেওয়ায় বৃদ্ধা মহিলাকে পিটিয়ে জখম করে পা ভেঙ্গে দিয়ে বিলের ভিতরে ফেলে রাখে প্রতিপক্ষ গ্রুপের জাহাঙ্গীর ও আলাউদ্দিন গংরা। ঘটনাটি ঘটেছে ১১/০২/২০ ইং তারিখ সকাল ১১.৩০ মিনিটের সময়। এতে হাসনাসহ ৬ জন আহত হয়েছে। আহতের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জমির বর্তমান মালিক লোকমান মুন্সি জানান, আমি ১৯৬৬ সাল থেকে মৌলভী নাছির আহমেদ এর কাছ থেকে জমি ক্রয় করার পর থেকে অদ্য পর্যন্ত ২৩ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসতেছি। এতে আমার ভোগ দখলে কোন রকমের কোন অসুবিধা হয় নাই। কিন্তু বর্তমানে আমার প্রতিপক্ষ গ্রুপ ওয়ারিশ সুত্রে ভুয়া জমি দখল দাবিতে একটি ভুমিদস্যু বাহিনী চক্রটি মরিয়া হয়ে উঠছে আমাদের ভোগদখলীয় জমিটি দখল করার জন্য।
ভুমিদস্যু গ্রুপটি জমি দখলে মরিয়া হয়ে একের পর আমাদের উপর হামলাসহ আমাদেরকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমরা বাদ্য হয়ে ভুমি রক্ষার্থে ভোলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি অভিযোগের ভিত্তিত্বে ভোলা থানার ওসি এনায়েত এসআই রফিকুল ইসলামকে সরেজমিনে পাঠাইলে ভুমিদস্যু আলাউদ্দিন ও জাঙ্গাগীর গ্রুপদেরকে থানায় আসতে বললে তারা জমির কাগজ পত্র নিয়ে থানায় না আশায় ভুমিদস্যু বাহিনীটি ব্যার্থ হয়।
জমির বর্তমান মালিক লোকমান তার কাগজের বলে তার ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় জমিতে গাছ কাটতে গেলে পুরুষেরা না এসে মহিলাদের দিয়ে বাঁধা এবং বাউন্ডারি উপরে ফেলে দেয়। এতে লোকমানের বোন বাঁধা দিলে বিবাদি গ্রুপের সদস্য সাথির সাথে বাক-বিতন্ডা সৃষ্টি হয়। একপর্যায় লাটি সোডা ও রড দিয়ে লোকমানের বোনকে আঘাত করে মাঠিতে ফেলে দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করতে আসলে সুমন, সোহেল, তানভীর, আকবর, আজাদ, মনির সোনিয়াকে এলোপাথরি লাটি সোঠা ও ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ভুমিদস্যু গ্রুপের সদস্য জাহাঙ্গীর, আলাউদ্দিন, রাশেদ, সুমন, গিয়াসউদ্দিন, কবির, জান্নাত, সাথী, মনোয়ারা বেগম, অজিফা, লাইলি বেগম, মরিয়ম, ছনিয়া, টুনি গংরা।
এক পর্যায় ভুমিদস্যু বাহিনীরা বিলের ভিতর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে হাসনাকে ফেলে দেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তির জন্য প্রেরন করেন।
এ ব্যাপারে এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, আমি একাধিক বার আলাউদ্দিন জাহাঙ্গীর গংদের থানায় ডাকলে তারা কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে ব্যার্থ হয় এবং জমির মালিক জমিতে গেলে বিবাদিরা হামলা করতে দৌড়ে ছুটে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থে গেলে তারা ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এসআই মনির জানান, মারা মারির খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গেলে সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হতে বলি এবং পরিস্থিতি শান্ত অবস্থায় রেখে উভয়কে থানায় কাগজ পত্র নিয়ে ওসির কাছে আসতে বলি।
এ ব্যাপারে বর্তমান ভোগদখলীয় জমির মালিক লোকমান জানান আমরা মামলার প্রস্তুতি নিতেছি। অচিরেই আমরা ভুমিদস্যু চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মামলা দিব এবং আমাদের মেরে উল্টো তারা লোক মুখে বলে যায় আমাদের নামে নাকি তারা নারী শিশু নির্যাতন মামলা দিবে কোটে।
এ ব্যাপারে আলাউদ্দিন গংদের সাথে কথা হলে তারা জানান, জমিটি আমার তাই আমরা দখলে যাইতে বাধা দিলে একটু হাতা হাতি হয়েছে এছাড়া কিছু হয় নাই। লোকমান বলেন, আইনের উর্ধ্বে কেউই না আইন সবার জন্য সমান। আমরা আইনকে শ্রদ্ধাকরি আর অপরাধি ও ভুমিদস্যু বাহিনীটির বিচার দাবি করছি।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত বলেন, ঘটনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাটিয়েছি। বাদিপক্ষ অভিযোগ দিয়েছে, কিন্তু এখনো মামলা মামলা নেইনি। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে মামলা নিব।

 

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।