সর্বশেষঃ

চরমনসা সাহিদা রহমান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

রাজাপুরে প্রধান শিক্ষিকা খুকু রাণীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

বর্তমান সরকার যখন শিক্ষাবান্ধব সরকার, শিক্ষাক্ষেত্রে রয়েছে কঠিন নজরদারী। আর সেই মুহুর্তেই নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোলা সদর উপজেলার ৭নং চরমনসা সাহিদা রহমান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খুকু রানীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্য এবং অভিভাবকরা।
লিখিত অভিযোগে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খুকু রানী দে এর অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মানসহ সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়ে গেছে।
প্রধান শিক্ষিকা গত ২০১৯ সালে বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর তিনি প্রতিদিন ১০ টায় থেকে ১১ টার মধ্যে বিদ্যালয়ে আসে এবং ১.৩০ এর মধ্যে চলে যায়। প্রতিদিন তিনি একই অজুহাত দেন যে তিনি অফিসে যাচ্ছেন। তিনি বিদ্যালয়ে যোগদানের পর একদিনও ঠিকমত ক্লাসে পাঠদান করেননি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকের কোন ক্লাস নাই। ২০১৯ সালের সরকারী বরাদ্দ প্রাক-প্রাথমিক, স্লিপ এবং রুটিন মেনটেন্যান্স বরাদ্দ বাবদ প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মধ্যে একটি কেচি গেইট এবং লাইব্রেরী রুমের জন্য চেয়ার দুইটি, অটবির সোকেইস ১ টি ৪ টি পর্দা ক্রয় করা ছাড়া আর কোন কাজ করেননি।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাকি টাকা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিসে খরচ হইছে। ২০১৯ সালের সমাপনি পরীক্ষায় ফি জনপ্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা এবং কেন্দ্র খরচ ১৭০ টাকা করে নিয়েছে। এই ধরনের অভিযোগ এনে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন সভাপতি শাহজাহান বেপারী।
বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, বর্তমান প্রধান শিক্ষক খুকু রাণী তার সহকর্মীদেরই মূল্যায়ন করেন না এবং তিনি আশার পর শিক্ষার মান খুব খারাপ যাচ্ছে, তাই অভিভাবকরা তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে অন্য স্কুলে দিচ্ছে।
বর্তমান সভাপতি শাহ্জাহান বেপারী বলেন, খুকু রাণী দে কমিটির কোন সদস্য কি বা অভিভাবক এমন কি তার সহকর্মীদেরও তিনি পাত্তা দিচ্ছেন না। ঠিকমত স্কুলে থাকেন না এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকে ক্লাস নেওয়ার নিয়ম নেই। তাই আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ৩০ জনের সারিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে বৃহস্পতিবার সাড়ে ১২ টায় সময় প্রধান শিক্ষিকার কাছে তার অফিস কক্ষে গিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে নেই আগে। কিছুক্ষণ পরে এসে বলেন, শিক্ষা অফিস থেকে (শিরিন আপা) বলেছে কোন বক্তব্য দিতে না, আমি বক্তব্য দিতে পারবো না। তবে তার বিরুদ্ধে (প্রধান শিক্ষিকার) যে লিখিত অভিযোগ হয়েছে সেটা স্বীকার করেছেন।
এই বিষয়ে ভোলা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শিরিন আক্তার বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং সেই অভিযোগের তদন্ত চলছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।