সর্বশেষঃ

এ যেনো জ্যৈষ্ঠের আগমনী বার্তা

ভোলায় গাছে গাছে আমের আগাম মুকুল

মধুমাস জ্যৈষ্ঠের আগমনী বার্তা নিয়ে মাঘের কনকনে শীতে নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই ভোলায় আম গাছ গুলিতে দেখা মিলেছে আগাম মুকুলের।

ঋতু পরিক্রমায় সময় না হলেও আমের হলুদ মুকুলের মৌ মৌ মিষ্টি গন্ধই জানান দিচ্ছে মধুমাস সমাগত। বৃষ্টি পরে নতুন করে শীত জেঁকে বসলেও আবহাওয়াগত কারনে নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই গাছগুলিতে আগাম মুকুলের দেখা মিলেছে।
মাঘের প্রথমে আগাম মুকুলের দেখা দেয়ায় আমচাষীদের মনে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তবে ঘন কুয়াশা হলে এই সকল আগাম মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। আমের রাজধানী হিসেবে রাজশাহী ও চাপাই নবাবগঞ্জ বিখ্যাত হলেও ভোলা জেলাও এখন কোনো অংশে কম নয়।

ভোলার কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, গত বছর এই জেলায় ২১৪৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান ছিলো।এই সকল জমি থেকে ১২ হাজার ৮শ ৭০ মেক্ট্রিকটন আম উৎপাদন হয়েছিলো। চলতি বছরে বাগানের পরিমাণ কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার চাষকৃত উল্লেখযোগ্য জাতের আম হলো, ফজলি, বারী আম ৪, আম রুপালী,হাড়ী ভাঙ্গা, গৌরমতি, বারি আম ৪, বারি আম ৮, গুটি আম, হিম সাগর অন্যতম।

বুধবার(৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে বাড়ির আঙ্গিনায় ও বাগানের কিছু কিছু গাছে আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে। গাছে আগাম মুকুল আসায় বাগান মালিকরা পরিচর্যার কাজ শুরু করেছেন।
এসময় কথা হয় আমচাষী সিরাজ কাজীর সঙ্গে তিনি বলেন,‘নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগেই এখানকার আম গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে।আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।’

আমচাষী মোস্তফা কাউছার বলেন, ‘জানুয়ারী মাসের প্রথমেই এখানকার অনেক গাছেই মুকুল এসেছে। তবে চলতি মাসের শেষের দিকেই প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে শুরু করবে বলে তিনি জানান।’

ভোলা জেলা অতিরিক্ত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাশেদ হাসনাত বলেন,‘প্রায় একমাস আগেই আবহাওয়াগত ও জাতের কারণেই মূলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। ঘনকুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ নামলে আগাম মুকুলের ক্ষতিহবে। তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চলতি মাসের শেষে সব গাছে মুকুল দেখা যাবে বলে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।