ভোলার চরনোয়াবাদে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ সরকারি কর্মকর্তা পার্থ স্বারতির বিরুদ্ধে

ভোলার চরনোয়াবাদের পৌর ৪ নং ওয়ার্ডে রেসিডেন্সিয়াল ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজের পাশে মৃধা বাড়ির সড়ক পাঁচ কুড়িরায় দরজায় ভোলা ভুমি অফিসের সরকারি ভিপি জমি ভুমি অফিসকে না জানিয়ে জমির চারপাশে মোটা মোটা খুটি দিয়ে জমি দখল করেন তজুমুদ্দিনে চাকরিরত হিসাবরক্ষন অফিসের হিসাবরক্ষন অফিসার পার্থ স্বারতি ও স্ত্রী। গত ৫/০২/২০২০ ইং তারিখ সকাল ৮ টার সময় ভোলা ভুমি অফিসের কোন কর্মকর্তাকে না জানিয়ে হঠাৎ কামলা নিয়ে এই জমি দখল করেন পার্থ স্বারতি ও তার স্ত্রী।
পার্থ স্বারতির স্ত্রীর সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, এটা আমার পূর্ব পুরুষেরা খেয়েছে ডিসিআর কেটে। তাই আমরা ও খাইতেছি। সরকারি জমি দখলে নিয়ে ভুমি অফিসের কাউকে না জানিয়ে বেড়া দেওয়াসহ কাজ করার কথা জানতে চাইলে তিনি তাৎক্ষনি সেখান থেকে তার স্বামির সাথে ফোন কথা বলার মধ্য দিয়ে তিনি ঘটনাস্থল থেকে সরে যান। পরে তাকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বর্তমান ডিসিআর কাটা জমি দাবিকারি প্রাপ্ত মালিকানাধীন নির্মল চন্দ্র ঘ্রোমি ও তার ভাই সেমল চন্দ্র ঘ্রোমি জানান, এই জমিটি পূর্বের ডিসিআর প্রাপ্তির বেনি মাধব খাইতো। সে মারা যাওয়ার পর জমিটি ডিসিআর শূন্য হয়ে যাওয়া ডিসিআর টি বাতিল হওয়ায় জমিটি মালিকানাহীন হয়ে পরায় দীর্ঘ কয়েক বছর মালিকানাহীন থাকায় আমাদের জমি না থাকায় আমরা নদী ভাঙ্গা পরিবার এবং আমাদের চলাচলের একমাত্র উপযোগি জায়গায়টিই হলো এটি।
জমিটি আমাদের বাসার সম্মুখে এটি ছাড়া আমাদের হাটা চলার মত কোন জায়গা না থাকায় আমরা সরকারের কাছে জমি চেয়ে দাবি করলে সরকার আমাদেরকে ৩ শতাংশের জমি ডিসিআর প্রতিবেদন ব্যাবহার করতে দেন।
তারপর আমরা জমিতে ভোগ দখল করতে গেলে পার্থ স্বরতি তিনি তার টাকার গরম দেখিয়ে লোকজন নিয়ে জমিটি ভুমি অফিসের কাউকে না জানিয়ে কামলা নিয়ে হঠাৎ আমাদের চলা চলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেন এবং জমিটি আজ সকালে কামলা নিয়ে দখলে নেন পার্থ ও তার স্ত্রী।
জমিটি দখলে নেওয়ার এই দৃশ্য দেখে ভোলা ভুমি অফিসকে জানালে তারা তাদের ভুমিটি তার নিজ আয়ত্বে আনতে তারা তাদের অফিসের লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পার্থ স্বরতি রায়কে না পেয়ে তার স্ত্রীকে সাবধান করে দেন এবং সরকার নির্দেশ না দেওয়া পর্যান্ত জমিতে যাইতে বারন করেন।
এ ব্যাপারে ভুমি অফিসের নাজির ইউসুফের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এই জমিটি পাওয়ার জন্য সেমল চন্দ্র ঘ্রামি ও পার্থ স্বারতি দুইটি পরিবারই আবেদন করছেন। কিন্তু কাউকে জমিটি দেওয়া হয়নি। অথচ বুদবার সকালে যখন খরব পেলাম ভোলার তজুমুদ্দিনে কর্মরত হিসাররক্ষন অফিসের অডিট অফিসার পার্থ স্বারতি জমিটি কামলা নিয়ে জমির চারপাশে ভুমি অফিসের কাউকে না জানিয়ে দখল নিচ্ছেন। তখন আমাদের পৌর অফিসের তহশিলদার ইদ্রিস ও তার সাথে অফিসের কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন এবং সরকার ডিসিআর না দেওয়া পর্যন্ত পার্থ স্বারতিকে জমির কাছে যেতে বারন করেন।
তিনি আরো জানান, আমাদের অফিসের তহশিলদার যখন চলে আসে তখনো নাকি আবার জমি দখল করতে গেছে জানিয়েছেন স্থানীয় কয়েক জন জনতা। আমরা পার্থ স্বারতির বিরুদ্ধে প্রশাসনীক ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।
পার্থ স্বারতির বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে তিনি প্রায় ৮-৯ মাস আগে ভুমি অফিসের কাউকে না বলে ভুমি অফিসের জমি থেকে কাছ কেটে নিয়ে গেছে। আমরা আমাদের ভুমি সহকারি কর্মকর্তাকে জানিয়েছি, তিনি ব্যাবস্থা নিবেন বলছেন।