চরফ্যাশন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হলেন প্রফেসর মোহাম্মদ উল্যাহ স্বপন
দৌলতখানে বস্তা বদলি করে টিসিবির পিয়াঁজ মিশরের বলে বিক্রি
ভোলার দৌলতখান উপজেলার সাধারণ মানুষের বদলে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)র পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে আড়তে এবং দৌলতখান বাজারের মুদি দোকানে ও বাজারের খোলা দোকানগুলোতে। টিসিবির ডিলাররা গুদাম থেকে এসব পেঁয়াজ সংগ্রহ করে খোলা বাজারে বিক্রির নামে কৌশলে তা বিক্রি করছেন আড়ৎদার ও মুদি দোকানীদের কাছে। এমনকি দৌলতখানের বড় বড় পেয়াজ আড়ৎদারও টিসিবির পেয়াজকে মিসরের পেয়াজ বলে খুচরা পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন।
বাজারের বেশির ভাগ মুদি দোকান এবং খোলা দোকানগুলোতে টিসিবির পেয়াজে ছয়লাভ হয়ে গেছে। এসব টিসিবির পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭০ টাকা। এমনকি এই বাজারের বড় বড় আড়ৎগুলোতেও এই টিসিবির পেয়াজ বস্তায় বস্তায় মজুদ রয়েছে, ব্যবসায়ীরা বলছেন এগুলো মিসরের পেয়াজ। একটি চক্র অতিরিক্ত লাভবান হবার আশায় এই টিসিবির পিয়াঁজের বস্তা বদল করে ভিন্ন বস্তায় পেকেট করে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। এমনকি ব্যবসায়ীদের হাতে বিভিন্ন বড় বড় পিয়াজ আড়তের মেমোও ধরিয়ে দিচ্ছেন। কোন সাংবাদিক বা প্রশাসনের কর্মকর্তা উপস্থিত হলে এসব মেমো দেখিয়ে দেন আড়ৎদাররা।
সরকার যখন অসাহায়দের চিন্তা করে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)র পেঁয়াজ চালু করেছে। কিন্তু কিছু অসাধু চক্র এমন উদ্যোগকে ক্ষুন্ন করতে অতিরিক্ত লাভের আশায় বিক্রি করছে আড়ৎদারদের কাছে। এতে নিন্ম আয়ের অসহায় মানুষগুলো চড়া মূল্যে পিয়াজ কিনতে বিপাকে পড়ছে।
পিয়াজ কিনতে আসা রহিমা বেগম নামে এক ক্রেতা জানান, প্রশাসনের মনিটরিং থাকলে আজ এই টিসিবির পেয়াজ ৭০ টাকা দামে কিনতে হতোনা। আজ টিসিবির পেয়াজ মিসরের নামে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা যা বিক্রির কথা ছিলো ৩৫ টাকা। প্রশাসন নিরব ভুমিকায় রয়েছে। এ ব্যাপারে দৌলতখান উপজেলার টিসিবির ডিলার ডালিম জানান, টিসিবির পেয়াজ আজ এক সপ্তাহ ধরে লোকসান হওয়ায় আনা বন্ধ করে দিয়েছি। তবে দৌলতখানে এসব পিয়াজ মিসরের।
দৌলতখান বাজারের পেয়াজ আড়ৎদার মহিউদ্দিন জানান, আমরা ভোলা থেকে ক্রয় করে এনে এসব পিয়াজ বিক্রি করছি। এগুলো মিসরের পিয়াজ রয়েছে আড়তে। আর এসব পিয়াজের মেমোও রয়েছে আমাদের কাছে। এ বিষয় দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জীতেন্দ্র কুমার নাথ জানান, এ ব্যাপারে আমি জানতে পেড়েছি, দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিষয়টি সম্পর্কে ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক কে জানানো হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি ক্ষতিয়ে দেখতেছি।