সর্বশেষঃ

ভোলায় বিচার বিভাগের পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

ভোলা বিচার বিভাগে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে তরুণ প্রজন্মকে পরিচিত করার লক্ষ্যে এবং বাঙালি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে ‘এই প্রথম আয়োজন করেছে শীতকালীন পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকাল ৪.৩০ মিনিটে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন জেলা জজ ডক্টর এবিএম মাহমুদুল হক ও জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ষার। এসময় উপস্থিত ছিলেন এসিজিএম শরীফ মোঃ সানাউল হক, যুগ্ম জেলা জজ মুহাম্মদ জাকারীয়্যা, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হায়দার, জেলা নাজির আমির হোসেন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগ কর্মচারী এসোসিয়েসনের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নাজিম উদ্দিন সহ জেলা জাজশীপের কর্মকর্তাবৃন্দ
উৎসবে নিয়ে আসা পিঠার মধ্যে রয়েছে- পাটিসাপটা, পুলি, পাতা পিঠা, ঝাল পিঠা, নারকেল পিঠা, ভাপা পিঠা, নকশী পিঠা, ঝিনুক পিঠা, জামদানি, সূর্যমুখী, গোলাপি, দুধপুলি, রসপুলি, দুধরাজ, সন্দেশ, আন্দশা, মালপোয়া, পাজোয়াসহ সুন্দর সুন্দর নাম আর ভিন্ন স্বাদের একশত পদের পিঠা।


পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করে,জেলা জজ ডক্টর এবি,এম মাহমুদুল হক ও জেলা প্রশাসক বলেন পিঠা খাওয়া গ্রামবাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। কালের বিবর্তনে এ ঐতিহ্য এখন ম্লান হয়ে আসছে। তবে শীত এলে বাংলার ঘরে ঘরে এখনো পিঠা তৈরির উৎসব শুরু হয়।অগ্রহায়ণের নতুন চালের পিঠার স্বাদ সত্যিই বর্ণনাতীত। এ সমস্ত নান্দনিক আয়োজন পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করে। গ্রাম বাংলার নানা বৈচিত্রের পিঠা সম্পর্কে শহুরে জীবনে তেমন সাড়া না জাগালেও গ্রামাঞ্চলে এখনো এর প্রচলন সমধিক। এখানে অনেক পিঠা দেখতে পেলাম, যেগুলো আমাদের আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি।
আমাদের জজ কোর্ট প্রাঙ্গণ লোকজ সংস্কৃতির আয়োজন খুব একটা হচ্ছে না বললেই চলে। এই প্রথম পিঠা উৎসব করছি আমরা আশাকরি সামনে থেকে আমরা এ উৎসব পালন করবো।
এদিকে এমন ব্যাতিক্রমী আয়োজনে যেমন ছিলো দর্শনার্থীদের জন্য আনন্দময় তেমনি আয়োজকদেরও উৎফুল্লতা, পিঠা উৎসবে যোগ দেয়। পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি পরিচিত হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের সাথে। বিকাল থেকে এই আয়োজনে রাত পর্যন্ত থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page