নদী খনন করতে গিয়ে মামলার শিকার জেলা প্রশাসকসহ ৮ কর্মকর্তা
চুয়াডাঙ্গায় নদী খনন করতে গিয়ে মামলার শিকার হয়েছেন জেলা প্রশাসকসহ সরকারি ৮ কর্মকর্তা।
জোরেশোরেই চলছিল চুয়াডাঙ্গা জেলার চিত্রা, নবগঙ্গা, কুমারনদী ও নৌকার খালের খনন কাজ। তবে, চিত্রা ও নবগঙ্গা নদীর কিছু জায়গা নিজেদের দাবি করে সম্প্রতি ৩২টি মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সরকারি আট কর্মকর্তাকে। ফলে, মাঝপথেই বন্ধ হয়ে গেছে চার নদীর খনন কাজ। শঙ্কা দেখা দিয়েছে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে। কিন্তু, এসব মামলার নিষ্পত্তি করে দ্রুতই খনন কাজ শুরু করার দাবি স্থানীয়দের।
এলাকাবাসী জানান নদী ও খালপাড়ের জমিগুলো কিভাবে মালিকানাধীন জমিতে পরিণত হয়েছে তা তারা জানেন না। আবার কেউ কেউ জানান, ব্যক্তিগত জমি ও নদীর পাড় পাশাপাশি হওয়ায় অনেকেই জমি দখল করে নিয়েছেন।
এদিকে, নদীর কিছু জায়গা নিজেদের দাবি করে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার কথা বলছেন মামলার বাদীরা। আইনগতভাবেই এসব মামলা মোকাবিলার কথা বলছেন বিবাদীরা। সেই সঙ্গে আইনি জটিলতা দূর করে শিগগিরই কাজ শুরুর আশা করছেন তারা।
চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম জানান, তারা আইনগতভাবেই এসব মামলার মোকাবিলা করবেন এবং সরকারের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা আছে তা বাস্তবায়ন করবেন।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আদালত খুব দ্রুতই এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। আদালতের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত পেলেই আমাদের কাজগুলো যেখানে থেমে আছে সেখান থেকেই আবার কাজ শুরু হবে।’
তবে হঠাৎ করে খনন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা করছেন ঠিকাদাররা। গত বছরের ১৪ই সেপ্টেম্বর নবগঙ্গা নদীখননের মধ্য দিয়ে কাজ শুরু হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী চলতি বছরের ৩০শে জুনের মধ্যে খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।