পদ্মা সেতু প্রকল্পে নজরদারিতে ৩৫ চীনা কর্মী
চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর পদ্মা সেতু প্রকল্পে কর্মরত দেশটির ৩৫ কর্মীকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
চীনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরার পর পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ ব্যাহত হবে কিনা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে এক হাজারের মতো চীনা শ্রমিক বা কর্মী কাজ করে। এদের মধ্যে দেড়শজন শিফটিং ছুটিতে থাকে। এতে আমাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বা পদ্মা সেতু নির্মাণকাজে অসুবিধার সৃষ্টি হয় না।’
এ সময় করোনাভাইরাসের বিস্তারের মধ্যে যারা ছুটি কাটিয়ে গত ১৮ জানুয়ারি চীন থেকে এসেছেন তাদের প্রকল্পের কর্মকাণ্ডের বাইরে রাখা হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, ‘এ মাসের ১৮ তারিখ থেকে যারা আসছে তাদের ব্যাপারে আমাদের নজরদারি আছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। ৩৫ জনের মতো এসেছে, ১৪ দিন নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে কর্মকাণ্ডের বাইরে রাখা হচ্ছে। আমাদের কর্মকাণ্ড কোনোভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে না।’
এর আগেও একশ থেকে দেড়শ জন শিফটিং ছুটিতে যেত, তাতেও পদ্মা সেতু নির্মাণকাজে সমস্যা হতো না বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে। আর প্রকল্পের নদী শাসনের কাজ করছে চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন।
বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২ জনে দাঁড়িয়েছে, চীনের মূল ভূখণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা এক দিনেই বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি।
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার নতুন করে আরও প্রায় দেড় হাজার মানুষের দেহে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। কেবল চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে, যা সার্স ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার চেয়েও বেশি।
আর চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে আরও ১৭ জায়গায় অন্তত ৭০ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৫ জনে।