৪ লেনে উন্নিত হচ্ছে ভোলা জেলার প্রধান সড়ক
ভোলায় শেখ হাসিনা ও তোফায়েল আহমেদকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দ মিছিল
ভোলা জেলার প্রধান সড়ককে ৪ লেনে উন্নিত করতে একনেকে ৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ায় আজ দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শহরে আনন্দ মিছিল করেছে জেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। ওই টাকায় ১৩০ কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন হচ্ছে। পরে প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবদুল মমিন টুলু, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জহরুল ইসলাম নকিব প্রমুখ।
জানা গেছে, ভোলার সদর থেকে চরফ্যাশন বাবুরহাট পর্যন্ত বর্তমানে ১৮ফুট চওড়া সড়ক রয়েছে। যা আদর্শ লেনে প্রায় দ্বিগুন হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন শুরু হয় প্রশস্ত করার উদ্যোগ। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১২ ফুট চওড়া টেকসই পাকা সড়ক নির্মানের উদ্যোগ নেন ওই সময়ের বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে সড়কটি ১৮ফুটে উন্নীত হয়। বর্তমানে তোফায়েল আহমেদের প্রচেষ্টায় এটি ৪ লেনে প্রশস্ত করার প্রস্তাব গ্রহণ করে সড়ক বিভাগ। গ্যাস সমৃদ্ধ জেলার গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে সড়ক পথে ভোলা-ঢাকা, ভোলা-চট্টগ্রাম বাস চলাচল শুরু হয়েছে। দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সহজ যোগযোগ স্থাপনের জন্য ভোলা ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
বর্তমানে সময় দাবি ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মান। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির ওই ব্রিজ নির্মানের জন্য ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক সমীক্ষাসহ প্রাথমিক সকল কাজ শেষ হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে আগামী বছরই ব্রিজ নির্মানের কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানান, সেতু মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ বেলায়েত হোসেন।
ভোলার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পঙ্কজ ভৌমিক জানান, যোগযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য জেলার প্রধান সড়কটিকে ৪ লেনে উন্নতি করণ করা হচ্ছে। ভোলা সদরের পরাণগঞ্জ থেকে বোরহানউদ্দিন, লালমোহন উপজেলার উপর দিয়ে চরফ্যাশনের বাবুরহাট পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সড়ক এই প্রকল্পের আওতায় থাকছে।
একনেকে ‘ভোলা -চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বর্তমান সরকারের ২৬তম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়াও দেশের ৩২৯টি উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সরকার খরচ করবে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে এই কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। একনেক সভায় প্রায় ২২ হাজার ৯৪৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, আজকের একনেক সভায় ভোলা (পরান তালুকদারহাট)-চরফ্যাশন (চরমানিকা) আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘বিসিক শিল্প পার্ক, সিরাজগঞ্জ (তৃতীয় সংশোধনী) প্রকল্প, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘এসআরডিআই-এর ভবন নির্মাণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি (সিসিবিএস)’ প্রকল্প, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন, জামালপুর (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্প ও ‘কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর এলাকার নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন’ প্রকল্প, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘বেতগ্রাম-তালা-পাইকগাছা-কয়রা মড়ক যথাযথমানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প, ‘লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়ক (আর-১৪৫) ও লক্ষ্মীপুর-চরআলেকজান্ডার-সোনাপুর-মাইজদী (জেড-১৪০৫) সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কৈফিয়তঃ সংবাদ প্রকাশের সময় টাইপিং ত্রুটির কারণে ৪ লেনের স্থলে ৬ লেন হওয়াতে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।