ভোলায় পোষ্ট অফিসের পিয়নের বিরুদ্ধে ৩য় শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ

ভোলা সদর উপজেলা পুর্ব ইলিশা ইউনিয়নের পোষ্ট অফিসের পিয়ন শের আলীর বিরুদ্ধে ৩য় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে এ অভিযোগ উঠে। অভিযুক্ত শের আলী পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ওমর আলী মাষ্টারের ছেলে।
সুত্রে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার পুর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মোশারেফ হোসেন এর ৩য় শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে পোশাক দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ইলিশাবাজার পোষ্ট অফিসের পিয়ন শের আলী (৫৫) তার পোষ্ট অফিসের কক্ষে নিয়ে মুখ চেপে যৌন হয়রানী করেছেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রী এবং তার মা শেফালী বেগম।
ছাত্রীর মা শেফালী বেগম জানান, আমার মেয়ে স্কুল এর সামনের দোকানে চকলেট কিনতে গেলে স্থানীয় পোষ্ট অফিসের পিয়ন শের আলী তাকে পোশাক দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তার রুমে নিয়ে মুখ চেপে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়েছেন এবং এই কথা কাউকে বললে মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন ঐ শের আলী। আমার মেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বাড়ী এসে প্রথমে ভয়ে কিছু বলতে চায়নি পরে আমি তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দাগ দেখে মেয়েকে আসতে আসতে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে মা আমি বললে বলছে আমাকে মেরে ফেলবে। মেয়ের মা শেফালী বলেন আমি এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবী করছি।
ঐ ছাত্রীর প্রতিবেশী স্থানীয় মহিলা মেম্বারের স্বামী আমজাদ হোসেন বাবুল বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি ঘটনা সত্য। মেয়ের চাচা রুহুল আমিন বলেন, আমি শুনেছি; কিন্তু এটা তো আইনের বিষয় তাই আমরা সমাধান করতে পারিনি।
এদিকে অভিযুক্ত শের আলীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার পোষ্ট অফিসে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার বাড়ীতে গিয়েও পাওয়া যায়নি। তবে তার মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমি ঐ মেয়েকে আমার রুমে এনেছি সত্য তবে পোশাক দেওয়ার জন্য। আপনি কেনো পোশাক দিবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপনাদের সাথে সরাসরি এসে কথা বলবো।
ভোলার পোষ্ট মাষ্টার এমরান হোসেন বলেন, আমি ভোলায় নতুন এসেছি তার পরেও লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে বিষয়টি ধাপাচাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল শের আলীর পক্ষে দৌড়ঝাঁপ করছে বলে সুত্রে জানা গেছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।