মাতৃবন্ধু এএইচএম নোমানের সংবর্ধনা

ডরপ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম নোমানকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। গতকাল সোমবার ভোলা শহরের হোটেল প্যাপিলনের হলরুমে র্ডপ এর নাগরিক কমিটি এ সংবর্ধনা প্রদান করেন।
নাগরিক কমিটির সভাপতি ভোলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহেরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এএইচএম নোমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডা. রাজিয়া বেগম। গেষ্টঅব অর্নার হিসেবে ছিলেন ইংল্যান্ডের নাগরিক দিনা ইউনা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিকে ফুল দিয়ে বরন করেন নাগরিক কমিটির সভাপতি ভোলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ তাহের। এরপর কোরআন তেলাওয়াত করেন আজকের ভোলা সম্পাদক মুহাম্মদ শওকাত হোসেন। অনুষ্ঠান শুরুতে প্রধান অতিথিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন ডা. আলাউদ্দিন। এ সময় বক্তব্য রাখেন ডা. রাজিয়া বেগম, প্রফেসর রুহুল আমিন জাহাঙ্গীর, প্রফেসর দুলাল চন্দ্র ঘোষ, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, মানবাধিকার কর্মী হোসনে আরা চিনু, নুর নাহার, জীবন চন্দ্র দে প্রমূখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ভোলার বাণীর সম্পাদক মুহা: মাকসুদুর রহমান, বুদ্ধি প্রতিবন্ধি স্কুলের পরিচালক জাকিরুল হক, ডরপ এর সদর উপজেলা কর্মকর্তা তরুন কান্তি দাস, শান্তা মুনিয়া, মোঃ ইসরাইল, সালেহা আক্তার ময়না।
ডরপ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নোমান সমাজ কল্যাণে বিশেষ অবদানের জন্য ভারতের পশ্চিম বঙ্গের নদিয়া জেলার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে উদার আকাশ পত্রিকা ও প্রকাশনা থেকে প্রচারহীন বিরত্ত সম্মাননা ২০২০ লাভ করেন। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ২০১৩ সালে ‘গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার’ লাভ করেন। দেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার জন্য দেশ-বিদেশে প্রচুর সম্মাননা প্রাপ্ত হন। জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশ কর্তৃক ‘জেসিআই বাংলাদেশ শান্তি সম্ভব এওয়ার্ড-২০১৭ লাভ করেন।
স্পেন সরকারের রানী সোফিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় উন্নয়ন সংস্থা আয়েসিদ এর আর্থিক সহায়তায় ২০০৯-১২ পর্যন্ত র্ডপ স্বপ্ন প্যাকেজ কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করে। এ ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কার্যক্রমটি ভোলার দৌলতখানসহ সরকার দেশের ১০টি ‘পাবলিক পুয়র পাইভেট পার্টনারশীপ-পিপিপিপি’ এর মাধ্যমে ‘মা সংসদ’ প্লাটফরমের পাইলট বাস্তবায়নকারী। এ ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করায় ইতোমধ্যে তিনি ‘মাতৃবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। তিনি ‘সর্বজনীন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা পরিষদ’ ও ‘স্বাস্থ্যগ্রাম’ ধারণার প্রবক্তা ও বাস্তবায়নকারী।
এছাড়া নোমান বাংলাদেশে দরিদ্র মা’দের জন্য ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ প্রদান কার্যক্রম প্রবর্তন (মে ২০০৫) করেন। আর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৭-০৮ অর্থ বছর থেকে বাংলাদেশ সরকার সারাদেশে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এরপর দারিদ্র্য বিমোচনে মাতৃত্বকালীন ভাতা কেন্দ্রিক ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কার্যক্রমও তিনি উদ্ভাবন করেন।
দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর নিবাসী এএইচএম নোমানের বাবার নাম আলহাজ্ব ডা: মফিজুর রহমান। তিনি একজন চিকিৎসক ছিলেন। তারা ৫ ভাই, ১ বোন। তার ২ ছেলে এবং ১ মেয়ে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম এবং পরে চাট্যার্ড একাউন্ট শেষ করেন। পরে তিনি ডরপ প্রতিষ্ঠা করেন।