লালমোহনে দাফনের ৯ দিন পর প্রতিবেশির মারধরে বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ
বঙ্গবন্ধু বিপিএল রাজশাহী’র
![](https://bholarbani.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ফাইনালে রাজশাহীর দেওয়া রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ সংগ্রহ করে খুলনা। ফলে ২১ রানে জয় পায় রাজশাহী। সেই সাথে বঙ্গবন্ধু বিপিএল চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী।
এর আগে, শুরুতে আফিফ-লিটনকে তুলে নিয়ে রাজশহীকে অনেকটাই চেপে ধরেছিল খুলনার বোলাররা। তবে ইরফান শুক্কুরের ফিফটিতে সেই চাপ কাটিয়ে ব্যাটে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও আন্দ্রে রাসেলের ঝড়ে মুশফিকদের বিপক্ষে চ্যালঞ্জিং স্কোরই গড়েছে রাজশাহী। নির্ধারিত ওভার শেষে মাত্র উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান তুলেছে রাজশাহী। ফলে প্রথম শিরোপা ঘরে তুলতে হলে খুলনাকে করতে হবে ১৭১ রান। যা বেশ চ্যালেঞ্জিংই বটে।
অথচ, এদিন মিরপুরে প্রায় ২৮ হাজার দর্শকের সামনে টস হারা রয়্যালসদের শুরুটা কিন্তু এতটা সমৃদ্ধ ছিলনা। খুলনার বোলাদের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ে মাত্র ১৪ রানে আফিফকে হারানো রাজশাহী প্রথম পাঁচ ওভারে তুলতে পারে মাত্র ৩৩ রান। তবে তরুণ ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে ছয় ওভারে তাদের রান গিয়ে দাঁড়ায় ৪৩/১-এ। পরে দশম ওভারে গিয়ে লিটনকে তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে আবারও চেপে ধরে খুলনা।
দলীয় ৬৩ রানে আউট হওয়া লিটন ফেরেন ২৮ বলে ২৫ রান করে। এরপর পঞ্চদশ ওভারে একশ পেরোয় রাজশাহী। এর আগেই অবশ্য পরপর ফেরেন শোয়েব মালিক ও ইরফান শুক্কুর। মালিক মাত্র ৯ রান করে ফিরলেও বিপিএলে ও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন শুক্কুর। ৩৫ বলে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায় আগের মতই ৫২ রান করেন ইরফান। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ইরফান যখন আউট হন, তখনও অবশ্য দলের রান ৯৯।
পরে ক্রিজে এসে কিছুটা সময় নিলেও পরবর্তিতে ঠিকই আগের ম্যাচের মতোই ঝড় তোলেন আন্দ্রে রাসেল। তবে দিন তার চেয়ে বেশি আগ্রাসী ছিলেন মোহাম্মদ নওয়াজ। এ দুজনের তাণ্ডবেই শেষ ৩৪ বলে ৭১ রান তোলে রাজশাহী। গড়ে চ্যালঞ্জিং স্কোর। যেখানে নওয়াজ মাত্র ২০ বলে ছয় চার ও দুই ছক্কায় ৪১ রানে এবং রাসেল ১৬ বলে তিন ছয়ে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
খুলনার বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ আমির দুটি এবং ফ্রাইলিঙ্ক ও শহিদুল একটি করে উইকেট লাভ করেন।