ভোলায় নিঃসন্তান দম্পতির কষ্টের শেষ নেই।। কাটছে মানবেতর জীবন

মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য হলেও ভোলা পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের মধ্য চরনোয়াবাদ এলাকার নিঃসন্তান কৃষ্ণ চরন দাস ও অঞ্জনা রাণী দম্পতির বেলায় কথাটি সম্পূর্ণ বিপরীত।

খেয়ে না খেয়ে, অসুখে-বিসুখে দিন কাটছে অসহায় এই কৃষ্ণ চরন দাস (৭৫) ও স্ত্রী অঞ্জনা রাণী (৬২) নিঃসন্তান এই দম্পতি যুগলের। ভোলা শহরের পৌরসভার মধ্যে বসবাস হলেও এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর মত এগিয়ে আসেনি কোন বিত্তশালী মানুষ।

দলিত গোষ্ঠীর পক্ষে একটি কার্ড করে দিয়েছেন এ ছাড়া আর কোন বরাদ্দ জোটেনি তার ভাগ্যে।
রবিবার সকালে ভোলা পৌরসভার মধ্য চরনোবাদ এলাকায় কৃষ্ণ চরন দাস ও অঞ্জনা রাণীর খোঁজ নিতে এই প্রতিবেদক তাদের ছোট দোচালা ঘরের মধ্যে গিয়ে দেখেন তাদের দুর্দশার চিত্র।
জানা যায়, বিয়ের পর সন্তান জন্ম নিলেও বেঁচে নেই কৃষ্ণ চরন দাস ও অঞ্জনা রাণীর দাম্পত্য জীবনে, তার পরেও ভালোবাসার কমতি ছিলো না এই নিঃসন্তান দম্পতির মধ্যে।
কোন রকম জুতা সেলাইয়ের কাজ করে স্থানীয় এক ব্যক্তির জমিতে ছোট ঘর তুলে সংসার চালালেও হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন স্ত্রী অঞ্জনা রাণী।
স্ত্রীর চিকিৎসা চালাতে গিয়ে আয় রোজকার এর সব শেষ করে আরো অসহায় হয়ে পড়েন কৃষ্ণ চরন দাস।
এতটা অসহায় হয়ে পড়েন দুমুঠো ভাত খাবে সেই অবস্থাও নেই এই দম্পতি কৃষ্ণ ও অঞ্জনার।
অঞ্জনা রাণী বলেন, আমাদের খোঁজ নেওয়ার কেউ নেই, গত বছরে স্বপ্ন শিখর নামে একটি সংগঠন কিছু আর্থিক সহযোগিতা করেছে এ ছাড়া আর কেউ খোঁজ নেয়নি।
সরকারের এতো ভাতা আমাদের মত গরীবের ভাগ্য এগুলো জুটে না, দলিত গোষ্ঠীর পক্ষে একটি কার্ড করে দিয়েছে এ নিয়েই চলে আমাদের মানবেতর জীবন।
কৃষ্ণ চরন দাস কে একটি ভাতা কার্ডের জন্য সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।
কৃষ্ণ চরন দাস এর প্রতিবেশী পরান চন্দ্র দাস বলেন, এই দুইজনের জীবন কাটে খুব কষ্টে, আমরা যতটুকু পারি তাদের সহযোগিতা করি, ওদের স্বামী স্ত্রী দুইজনের জন্য দুইটি কার্ড হলে মনে হয় কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব হতো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।