বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোলার বেতুয়া-মনপুরাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ
পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তুপে উঁকি দিচ্ছে নতুন প্রাণ
চারদিকে পোড়া ধ্বংসস্তুপ। হাজারো গাছ পুড়ে গেছে। তারই উপর মাথা তুলছে সবুজ প্রাণ। প্রকৃতির রোষের শিকার অস্ট্রেলিয়ায় দেখা মিলেছে তেমনই দৃশ্যের। বিধ্বংসী দাবানলে বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল পুড়ে যাওয়ার পর সেখানেও সৃষ্টির ছোঁয়া। নতুন করে প্রাণের সঞ্চার হচ্ছে। পুড়ে যাওয়া জমিতেই সবুজের আভা, মরা গাছের ডালে উঁকি মারছে গোলাপী ফুল। ওই তো, আবার নতুন সাজে সেজে উঠছে প্রকৃতি !
নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়ার যে প্রদেশে দাবানলের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে, সেখানেই এমন আশাব্যঞ্জক ছবি মন ভালো করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়বাসীর। এতদিনকার দমবন্ধ পরিবেশে যেন একটু স্বস্তির হাওয়া। কালনারা এলাকা থেকে এই ছবিগুলো তুলেছেন মারে লোই নামে এক ব্যক্তি। তারপর তিনি নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিয়েছেন।
লিখেছেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া এলাকাগুলো দেখতে আজ বেরিয়েছিলাম ক্যামেরা নিয়ে। দেখার চেষ্টা করছিলাম যে এত বড় একটা বিপর্যয় অস্ট্রেলিয়ার গাছপালাগুলো কীভাবে সামলায় দেখলাম, নতুন করে পাতা গজিয়ে উঠছে, ফুল ফুটছে। এখানে কোনো বৃষ্টিও হয়নি। তা সত্ত্বেও এই দৃশ্য দেখে মন আনন্দে ভরে গেল।
লোই তার এই সব ছবি বিক্রি করেছেন। এই অর্থ তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে দেবেন বলে জানিয়েছেন। তার এই মহৎ উদ্যোগে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বন্ধুরা। এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে এভাবেই একে অন্যের হাতে হাত রাখছেন। পাশাপাশি বিপন্ন বন্যপ্রাণীকে বাঁচাতেও চলছে তাদের লড়াই।
সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিধ্বংসী দাবানলের জেরে পুড়ে গিয়েছে প্রায় কয়েক লাখ একর জমি। ভস্মীভূত হয়েছে প্রায় দু’শোরও বেশি বাড়ি। কয়েকশ কোটি টাকার ক্ষতি। এই ভয়াবহ দাবানলের জেরে ব্যাপক য়তি হয়েছে বন্যপ্রাণীদেরও। ঝলসে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি জন্তর।
তবে সেই মৃত্যুভূমি থেকেই ফের জেগে উঠছে জীবন। আর সেই জীবন সংগ্রামেই যেন শক্তি যোগাচ্ছে মারে লোইয়ের তোলা এসব ছবি। যা দেখে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন ঘরহারা, প্রিয়জন হারানো মানুষগুলো। মনে হচ্ছে, অচ্ছ্রলিয়ার বুকে নতুন সূর্যোদয় আর সময়ের অপেক্ষামাত্র।