তজুমদ্দিনে স্কুল ছাত্রীকে মুখ বেধে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

ভোলার নানা বাড়ি বেড়াতে গিয়ে সপ্তম শ্রেণী স্কুল ছাত্রীকে মুখ বেধে তুলে নিয়ে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে তাদেরকে বাধা পর্যন্ত দেয়া হয়। কিন্তু এ ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকিতে ভিগটিম পরিবারটি এখন আতংকে রয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ভোলা হাসপাতালে নির্যাতিত ছাত্রীর পিতা জানান, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় সম্ভুপুর ইউনিয়নের কোড়ালমারা গ্রামের এলাকায় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী কেরামত হাওলাদার নানা বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত ২ জানুয়ারি এশার নামাজের সময় বাসার সামনে থেকে একই বাড়ির শফিউল্লাহ পুত্র বখাটে যুবক খাসের হাট শাহে আলম কলেজের ছাত্র রাকিব (২২)সহ ৩ জন মিলে ওই ছাত্রীর মুখ বেধে সুপারি বাগানের নিয়ে যায়। সেখানে ধর্ষন করে রাতভর আটকে রাখে। অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে ওই যুবক তাদের ঘরের একটি রুমে আটকে রাখে। নির্যাতিত ছাত্রীর পরিবার তাকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। কিন্তু ২ দিন পর ৪ জানুয়ারি বিকালে রাকিবের বাসা থেকে বাধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। এদিকে গুরুতর অবস্থায় তাকে চিৎিসার জন্য হাসপাতালে নিতে গেলে ধর্ষকের পরিবার বাধা দেয়। পরে রাতে গোপনে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রী জানান, তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষন করা হয়। জ্ঞান ফিরে দেখেন তার শরীরে রক্ষ। ধর্ষিতার পিতা মাতা ধর্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী করেন। এদিকে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা: তৈয়বুর রহমান জানান, ওই রোগীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। পুলিশ বা আদালত থেকে চাওয়া হলে ওই রির্পোট দেয়া হবে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি তজুমদ্দিন থানায় রাকিবসহ ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তুু ঘটনার ৫ দিন পরও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তজুমদ্দিন থানার ওসি এস এম জিয়াউল হক জানান, তারা আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।