অকাল বর্ষণে ভোলায় আলুসহ রবিশষ্যের ক্ষতির আশঙ্কা
অকাল বর্ষণে ভোলায় আলুসহ শীতকালীন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে কৃষকরা লোকসানের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এদিকে কৃষি বিভাগের দাবি, যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাতে ফসলের বিশেষ ক্ষতি হবে না। তবে আবারও যদি বৃষ্টি হয় তা হলে আলুসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হতে পারে।
কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি রবিমৌসুমে ভোলা জেলায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে রবিশস্য আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তার মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ইতোমধ্যে আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল। হঠাৎ বৃষ্টির কারনে তাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। ভোলার ইলিশা এলাকার কৃষকরা জানান, আর মাত্র দেড় মাস পরেই কৃষকের ঘরে নতুন আলু তোলার কথা ছিলো। কিন্তু গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে ভোলা জেলার ৭ উপজেলার অধিকাংশ ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে আলু ডাল, গমসহ শীতকালীন বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃসকরা। বুলবুলের আঘাত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই অকাল বর্ষণের এই ছোবলে ফসল হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক চাষীরা। বিশেষ করে যারা ধার দেনা করে কিংবা বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আলুর আবাদ করেছেন তারা অধিক দু:শ্চিন্তায় রয়েছেন।কৃষকদের অভিযোগ তাদের এই বিপদে কৃষি বিভাগের কাউকে পাশে পাচ্ছেন না। তাই নিজ উদ্দ্যোগে ক্ষেত থেকে পানি নিস্কাশনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ভোলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, কৃষকরা স্বউদ্যোগে দ্রæত ক্ষেতের পানি সরিয়ে নিলে ফসলের ক্ষতি হবে না। যে পরিমান বৃষ্টি হয়েছে তাতে আলু ক্ষেতে সেচের কাজ হবে। বড় ধরনের কোন ক্ষতি হবে না বলে কৃষি কর্মকর্তা আশা করছেন। তারা কৃষককে সঞায়তার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।