ভোলায় বৃষ্টিতে আলু চাষীদের মাথায় হাত

ভোলায় গত তিন দিনের টানা অতিবৃষ্টিতে চলতি মৌসুমের আলু শস্যের মাঠ অনেক এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকদের কষ্টার্জিত স্বপ্নের ফলন আলুর বীজ নষ্ট হওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত পরেছে এবং এবারও ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা।

শনিবার (৪ঠা জানুয়ারী) ভোলা সদর উপজেলার ইলিশার রাস্তার মাথার বিলে গিয়ে দেখা যায় কৃষকরা সেচ মেশিন দিয়ে বৃষ্টির পানি সরানোর চেষ্টা করছে।

স্থানীয় কৃষক ফজলুল, আলমগীর, স্বপন চন্দ্র, ইমাম ও হোসেন মিয়াসহ অনেকে জানান এ বছর বিভিন্ন এনজিও থেকে টাকা ধার-দেনা ও ঋণ করে জমিতে আলু চাষ করি। কিন্তু গত দু’বছরের ন্যায় এবারো টানা তিন দিনের বৃষ্টির পানিতে পুরো ফসলের মাঠ পানিতে ডুবে সম্পূর্ন ফসল ক্ষতি হয়েছে।

কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা এতো ক্ষতির মুখে পড়লেও আজ পর্যন্ত আমাদের এখানে দায়িত্বশীল কৃষি কর্মকর্তা কে কখনো দেখিনি।

ইলিশা ৫ নং ওয়ার্ডের আলু চাষী রজব আলী, নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা আজ তিন বছর এই বিলে ফসল করি কখনো কৃষি অফিসের কাউকে দেখিনি।

খোজ নিয়ে জানা যায়, ঐ এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা হলেন গৌতম চন্দ্র কুন্ডু।

এই প্রতিবেদক গৌতম চন্দ্র কুন্ডুর সাথে কথা বললে তিনি প্রথমে বলেন আমি আজ সকালে সেখানে গিয়েছি, কোথায় গিয়েছেন? আপনার দায়িত্বশীল এর মধ্যে কোথায় বেশি ক্ষতি হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমিতো সদরে থাকি এখন যাবো সেখানে।

ভোলা সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ‘এ বছর ভোলা সদর উপজেলায় মোট ১৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষীরা আলু চাষবাদ করে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ইলিশা,শিবপুর, ধনিয়া, ভেলুমিয়া,চরসামাইয়া সহ তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে মাঠের আলুর ফসল পানিতে ডুবে রয়েছে। পানি সরানোর কোন ব্যবস্থা না থাকায় মাঠ জুড়ে শুধুই বৃষ্টির পানি। তবে কিছু কৃষক নিজ উদ্যোগে সেচ বাধ দিয়ে পানি সরাচ্ছে।

জেলা কৃষি কর্মকর্তা বিনয় দেবনাথ জানান, তিন দিনের বৃষ্টির পানিতে কৃষকের কিছু আলুর ফলন ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়া ক্ষতিগ্রস্থ আলু চাষীদের তালিকা তৈরি করে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট প্রেরন করা হবে।’

তবে মাঠ কর্মকর্তা কে চিনেন না কৃষকরা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওরা হইতো ঠিক মত মাঠে যায় না তার পরেও আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো বলে জানান জেলা কৃষি কর্মকর্তা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।