সর্বশেষঃ

ভোলায় রঞ্জিত চন্দ্র তালুকদারের প্রতারনা ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

ভোলার মধ্য চরনোয়াবাদের রঞ্জিত চন্দ্র তালুকদারের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মিথ্যাচারের অভিযোগে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ভোলা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আবুল কাশেম তালুকদারের পুত্র সোহেল তালুকদার শুক্রবার (৩রা জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের একটি অভিজাত হোটেলে রঞ্জিত চন্দ্র তালুকদার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে সোহেল তালুকদার লিখিত বক্তব্য পাঠ করে জানান, ভোলা শহরের মধ্য চরনোয়াবাদের বাসিন্দা রঞ্জিত চন্দ্র তালুকদার ০৩/০১/২০২০ ইং ভোলা প্রেসক্লাবে তার জমিজমা বিরোধের বিষয় নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মলনে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। যাহা একেবারেই ডাহা মিথ্যাচার ও বাস্তবের বিপরীত। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে রঞ্জিত চন্দ্র তালুকদারের পিতা-মৃত সাধু চরণ তালুকদার এস,এ ৪৪৯ নং খতিয়ানের রেকর্ডিয় জমির মালিক ১০০ শতাংশ। তিনি জীবিত থাকা কালিন ২৩২৯ নং দলিলে ১৮/০৪/৬১ ইং তারিখে জনাব কালিমুল্লাহ (কালুর) নিকট ২৬ শতাংশ জমি বিক্রয় করেন। পরবর্তীতে একই জমি হতে ৩১২১ নং দলিলে একই গ্রহীতা কালিমুল্লাহ (কালুর) নিকট ৩৯ শতাংশ জমি সাব-কবলা রেজিষ্ট্রি দলিল মূলে বিক্রি করেন। পরবর্তীতে উক্ত ৬৫ শতাংশ জমি কালিমুল্লাহ (কালুর) সাধু তালুকদারের আপন ভগ্নিপতি শশী কুমার বৈদ্যের কাছে ৩৯৮৮ নং দলিলে বিক্রি করেন। শশী কুমার বৈদ্যের ওয়ারিশগণ ৬৩৮ ও ৮২৪ নং রেজিষ্ট্রিকৃত দলিলে কবির মিয়ার পিতা ওহিদুর রহমান মিয়ার কাছে বিক্রি করেন। এরপর সাধু চরণ তালুকদার ফৈরদৌসি বেগম ও আবদুর রহমানগংদের নিকট ৩০ শতাংশ জমি বিক্রি করার বায়না চুক্তিপত্র করে ঐ চুক্তি শর্ত ভঙ্গ ও প্রতারনা করতে থাকেন। অনুরূপভাবে কমল বৈদ্যের সাথে জমি বিক্রির বায়না চুক্তি পত্র সম্পাদন করিয়া তার সঙ্গেও প্রতারনা করেন। বিগত ২৪/০৩/২০১৬ ইং তারিখে উক্ত রঞ্জিত চন্দ্রের পিতা সাধু চরণ তালুকদার এলাকার বাসিন্দা সোহেল তালুকদারকে(আমাকে) নিজের নানা সমস্যার কথা ও দেনা পাওয়ার পরিশোধের নিমিত্তে তার সহযোগীতা কামনা করেন। সার্বিক সহযোগীতা ও সমস্যা সমাধান কল্পে এবং লাখ লাখ টাকা দেনা পরিশোধের জন্য সাধু চরণ তালুকদার বিগত ২৪/০৩/২০১৬ ইং তারিখে ১৮৪৯ নং রেজিষ্ট্রিকৃত ও অপ্রত্যাহারযোগ্য আম-মোক্তার দলিল হস্তান্তর করেন। সোহেল তালুকদার(আমি) উক্ত আম-মোক্তারে রঞ্জিত চন্দ্র তালুকদার পরিচিত হিসাবে স্বাক্ষর প্রদান করেন। সোহেল তালুকদারকে দিয়ে ঐ জমির সকল সমস্যা বেচা বিক্রি মামলা মোকদ্দমাসহ সাধু চরণ তালুকদার তার সকল দেনা পরিশোধ করান। যেহেতু সাধু চরণ তালুকদার ১০০ শতাংশ জমির মালিক থাকিয়া ৬৫ শতাংশ জমি বিক্রি করিয়া পরবর্তীতে ৩০ শতাংশ জমি ফৈরদৌসিগংদের সাথে চুক্তিপত্র করিয়া সোহেল তালুকদারকে ১০০ শতাংশ জমির আম-মোক্তার নামা দলিল দিয়ে প্রতারনা করিয়াছেন। এলাকায় এধরনের আরো একাধীক ব্যাক্তির কাছ থেকে চেক দিয়ে টাকা গ্রহন করিয়া জমি দিবেন বলিয়া তাহা না দিয়ে প্রতারনা করিয়াছেন। এতকিছু করার পরেও আমরা দলিল গ্রহীতাগণ সাধু চরণ তালুকদারের ছেলে রঞ্জিদ চন্দ্র তালুকদারের জমি দখল ও তাকে মারধর করিয়াছি মর্মে অভিযোগ আনায়ন শুনিয়া রীতিমত হতবাক হলাম এবং কাউন্সিলর শওকত হোসেন ঢাকায় অবস্থান করা সত্ত্বেও তার নামে মারধর করার মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সরেজমিন পরিদর্শন ও তথ্যানুসন্ধ্যান করলে জানবেন যে, তার বাবার বিক্রিকৃত জমিতে খরিদাগণ মালিক দখলদার বিদ্যমান থাকিয়া বহুতল বাড়ীঘর নির্মান করে বসবাস করে আসচ্ছেন এবং বর্তমানে ৪২৯৪ নং ডিপি খতিয়ানে সাধু চরণ তালুকদার সাড়ে ১৯ শতাংশ জমির মালিক যাহা বিক্রির পর খরিদাগণ ভোগ দখলে আছেন। কোন প্রমানের ভিত্তিতে রঞ্জিত চন্দ্র তালুকদার ২ একর সম্পত্তির মালিক দাবী করে আমাদেরকে সামাকিজ ভাবে হেও প্রতিপন্ন করছেন তাহা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা দরখাস্তকারীগণ আপনারা সাংবাদিকগনের মাধ্যমে হিন্দু বৈধ্য ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দকে জোড় অনুরোধ জানাচ্ছি যে, উক্ত বিষয়টি আপনাদের নখদর্পনে এনে ২ পক্ষকে এক টেবিলে বসিয়ে কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে বিষয়টির সুরাহা কল্পে রঞ্জিত চন্দ্রের মিথ্যাচার থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন। উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে পৌর কাউন্সিলর শওকত ও সোহেল তালুকদারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু রঞ্জিত তালুকদারের বসত বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও ২ একর জমি দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন রনজিত তালুকদার।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।