মুরগি বিক্রি করে বিনামূল্যের বই নেওয়ার অভিযোগ

রাজাপুর হাই স্কুলে টাকার জন্য বই পায়নি শিক্ষার্থী

শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এই স্লোগানে বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে সারাদেশে কিন্তু কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ না করে সেশন ফি ও যাবতীয় খরচ বাবদ বিভিন্ন হারে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী শহিদুল ইসলাম এর মেয়ে কাকলী, কামাল হোসেন এর মেয়ে শোভা, আমির খানের মেয়ে জাকিয়া, জয়নাল আবেদিনের মেয়ে সোনিয়া কে বছরের প্রথম বই উৎসবের দিনে টাকা নিয়ে কাউকে বই দিলেও টাকা ছাড়া মিলেনি শোভার ভাগ্যে বই।

অন্যদিকে হতদরিদ্র শহিদুল ইসলাম এর স্ত্রী রাবেয়া বলেন আমার মেয়ে কাকলী ৭ম শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণীতে উঠেছে কিন্তু বছরের প্রথম দিনে টাকা না দেওয়ায় মেয়ের বই দিবে না শুনে আমি মুরগি বিক্রি করে ৩০০ টাকা পাঠিয়ে মেয়ের বই এনেছি।

চায়ের দোকানদার কামাল হোসেন এর মেয়ে শোভা বলেন, আমি বই উৎসবের দিন ১০০ টাকা নিয়ে বই আনতে গেলে স্যারেরা আমাকে বই দেয়নি, ৩০০ টাকা ছাড়া বই দিবে না বলে দিয়েছে, তখন আমি বলেছি স্যার বই না দিলে আমি অন্য স্কুলে গিয়ে ভর্তি হবো, তখন স্যারে আমাকে হাত ধরে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে।

জাকিয়া বলেন, স্যারেরা বলছে ৩০০ টাকা নিতে আমি ২০০ টাকা দিয়েছি বলে রনজিৎ স্যার ও শ্যামল স্যার আমাকে ৬ টা বই দিয়ে বলেন তুমি বাকি টাকা দিয়ে সব বই নিবে।

এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন বলেন আমরা এগুলো সেশন ফি ও যাবতীয় খরচ আছে তো এই আর কি।

ভোলা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিহাদ আল হাসান বলেন, বই নিতে কোন টাকা লাগে না এবং বিশেষ করে কোন সেশন ফি বছরের প্রথম দিন নিতে পারবে না যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তাহলে আমি নিজে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।