ঝাড়ু বেচে স্কুলের খরচ চালায় এই শিশুরা!
গরিব হওয়ায় সন্তানদের স্কুলের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয় পরিবারের। তাই নিজেদের পড়াশোনার টাকা জোগাড়ের জন্য রাস্তায় নেমে পড়েছে একদল শিশু।
বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের প্রত্যন্ত কিছু এলাকায় পড়াশোনা চালাতে চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির ১০-১২ জন ছাত্র ঝাড়ু বিক্রি করছে।
সারা বছর যাতে স্কুল করা যায়, সে জন্য শুধু পিকনিকের মৌসুমে স্কুলে না গিয়ে ঝাড়ু নিয়ে পিকনিক স্পটে ঘুরে বেড়ায় তারা।
জানা গেছে, শীতকালে আলিপুরদুয়ারের ফাসখোয়া, জয়ন্তী ভরে যায় পিকনিকের দলে। আসেন অনেক পর্যটকও। তাদের কাছে ফুল ঝাড়ু বিক্রি করে ছোট ছেলেরা।
তাদের কেউ পড়ে চতুর্থ শ্রেণিতে, কেউ পঞ্চমে। এক জন এ বারে উঠেছে ষষ্ঠ শ্রেণিতে। এই সময়ে স্কুলে ছুটি থাকে। কিন্তু স্কুল খুললেও তারা যায় না।
তারা জানায়, দিনমজুর বাবা-মা পড়ার সব খরচ দিতে পারেন না। তাই তো ঝাড়ু বেচতে হয়।
জানা গেছে, এই সব এলাকার বাসিন্দারা খুবই গরিব। চা বাগানে কাজ করে তাদের দিন চলে। গত দুবছর ধরে তারা ঠিক করে নিয়েছে, এই সময়ে ঝাড়ু বেচে আয় করবে। তাতে টাকা কেউ কিনবে বই, কেউ দেবে হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার খরচ। এই শিশুদের পড়াশোনার আগ্রহ দেখে বিস্মিত পর্যটকেরাও।
কোচবিহারের দিনহাটা থেকে বেড়াতে আসা নীলিমা সেন বলেন, ‘ছেলেগুলোর পড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে খুব ভাল লাগছে। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও ওদের কথা ভাবুন। না হলে স্থায়ী সমাধান হবে না।