বই বিতরণ উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক
আমাদের কালেক্টরেট স্কুল হবে ভোলা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

নববর্ষের শুভেচ্ছা। আমরা অত্যান্ত আনন্দিত যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ চলছে। আমি প্রথমে কালেক্টরেট স্কুল দিয়ে বিনামূল্যে পাঠ্য বই বিতরণ শুরু করলাম। এই স্কুল নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন আছে। এই ছাত্র-ছাত্রীরা-ই সেই স্বপ্ন পূরণ করবে। কালেক্টরেট স্কুল হবে ভোলা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১লা জানুয়ারী বুধবার বই বিতরণকালে এভাবেই মতামত ব্যক্ত করলেন ভোলা কালেক্টরেট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক।
কালেক্টরেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরো বলেন, আমরা এই স্কুল গত বছরের ১৫ মে শুরু করেছিলাম। অনেক প্রতিকুলতার মাঝে আজ স্কুলটি এই পর্যায়ে আনতে পেরেছি। আরো কোয়ালিটি সম্পন্ন করবো। স্কুলের কোন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকতে পারবে না। পরপর ৩দিন উপস্থিত থাকতে না পারলে ডাক্তারের সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। অবহেলা করে স্কুলে না আসলে ওই শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে চলে যেতে হবে।
তিনি বলেন, শাহ নেওয়াজ চন্দন স্যার এই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন। ডিভেটিং, ইংলিশ, ল্যাঙ্গুয়েজ এবং সাংস্কৃতিকসহ ৪টি ক্লাব করবো। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে সবুজ ও কমলা দুই ভাগে ২টি কমিটি করা হবে। কমলা কমিটি ডিসিপ্লিং এবং সবুজ কমিটি পরিবেশ নিয়ে কাজ করবে। যারা ভাল করবে, তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পাশ করতে হবে। ১ হাজার নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ৪৫০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে তাদেরকে বাদ দেয়া হবে। কোন ফেল করা ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে থাকবে না। আমরা পড়ালেখায় চাঁপ দেব না। জ্ঞান বৃদ্ধির চেষ্টা করবো, শিক্ষার উপর-ই চাঁপ দেব। স্কুলের পড়া স্কুলেই শেষ করবো। বাড়িতে গিয়ে শুধু রিভাইজ দিবে। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মানুষ বানাবো ইনশাআল্লাহ। তারা যাতে ভালো জায়গায় গিয়ে নিজের জায়গা নিজেই তৈরী করতে পারে সেইভাবে তাদেরকে তৈরী করা হবে।
এই স্কুল শুরু থেকে এই পর্যন্ত যারা আমাদের বিভিন্নভাবে সার্বিক সহযোগীতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ এবং নতুন ও পুরাতন ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কালেক্টরেট স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহ নেওয়াজ চন্দন, শিক্ষক খগেন্দ্র বাবু, তরিকুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন, শিক্ষিকা সালমা, ফাতেমা, ফারহানা, ববিতা, সাংবাদিক মেজবাহ উদ্দিন শিপু, ডিসি অফিসের কর্মকর্তা গৌতম সিংহ, রতন, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার জামাল হোসেনসহ বিভিন্ন শিক্ষার্থীর অভিভাবকবৃন্দ।