জলবায়ু পরিবর্তনে জেলে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
কোস্ট ট্রাস্ট-সিজেআরএফ প্রকল্পের আয়োজনে ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনে উপকূলীয় অঞ্চলের বিপদাপন্ন জেলে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ’’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩১ডিসেম্বর অফিসার্স ক্লাব ভোলা এর সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। কোস্ট সিজেআরএফ প্রকল্পের প্রোগ্রাম হেড এম. এ. হাসান এর সঞ্চালনায় উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলামৎস্য কর্মকর্তা এস. এম. আজাহারুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মীনার, তজুমুদ্দিন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: আমীর হোসেন।
কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র জেলে মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আল মামুনুর রশীদ, ভোলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক মোকাম্মেল হক মিলনসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার মৎস্যজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ, ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকগন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস. এম. আজাহারুল ইসলাম বলেন, জেলে নিবন্ধন কার্যকমে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকতে পারে, যখন এই নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে এবং হাল নাগাদ করা হবে তখন অবশ্যই আপনারা প্রকৃত জেলেদের নিবন্ধনে সহায়তা করবেন। জেলে ভিজিএফ প্রদানের সময় আপনাদের প্রতিনিধিরা নিয়ম অনুযায়ী উপস্থিত থাকবে।
তিনি আরো বলেন ভোলা জেলা যেহেতু ভৌগলিক ভাবে নদী ও সাগর বেষ্টিত সেজন্য এই জেলার জন্য সরকারের বিশেষ দৃষ্টি সবসময় রয়েছে। বর্তমান সরকার মৎস্যজীবী জনগোষ্ঠীসহ অর্থনৈতিকউন্নয়নে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজকরে যাচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে তাদের সকলকে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
সেমিনারে বক্তারা বিভিন্ন দাবীসমূহ উত্থাপন করেন এবং উপকূলীয় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে দ্রুতকার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান। তাঁরা বলেন প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে শুধু মাত্র ভোলায় অনেক জেলে নিহত ও নিখোজ হচ্ছে। আয় উপার্জনের একমাত্র সম্বল হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ছে তাদেও পরিবার। তাই পরিবারের সদস্যদেও সামাজিক সুরক্ষা সুবিধার আওতায় আনা খুবই প্রয়োজন। শুধুমাত্র ঘূর্নিঝড় বুলবুলের সময় ১০ জন জেলে নিহত হয়েছে এখানে। তারা অভিযোগ করেন প্রকৃত অনেক জেলে রয়েছে যাদের নিবন্ধন নেই। আবার অনেকেই আছেন যারা জেলেও নয়; কিন্তু সুবিধা নিচ্ছে। অবরোধকালীন সময়ে শুধুমাত্র চাল দিয়ে সংসার চালানো যায়না সেজন্য প্রয়োজন নগদ আর্থিক সুবিধারও। সরকার যেভাবে কৃষকদের ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা দিচ্ছে, ঠিক সেভাবেই জেলেদেরও উক্ত সুবিধার আওতায় আনা প্রয়োজন। এই সময়তারা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে নুন্যতম ৮০০০ টাকা করে নগদ সুবিধা প্রদানের দাবি জানান।