বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোলার বেতুয়া-মনপুরাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ
দৌলতখানে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম,হাত দিয়েই রাস্তা টেনে তুলছে জনগন
ভোলার দৌলতখান পৌরসভার পশুহাসপাতাল মোড় থেকে ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ১.৮ কি.মি. সড়ক নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে করে গতকাল রবিবার স্থানীয় জনগনের তোপের মুখে পড়েছে উক্ত কাজের ঠিকাদারের লোকজন । পুনরায় সড়ক নির্মানের জন্য ভোলা দুই আসনের সংসদ এমপি আলী আযম মুকুল সহ সেতু মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার ভুক্তভোগী জনগন । এমন খবর পেয়ে পৌরসভার মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, রাস্তার কার্পেটিং এর কাজ নিম্ন মানের হয়েছে। নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত পাথরে পিচ নেই বললেই চলে। সড়কে পিচঢালাই দেয়ার দুই দিন পার হতে না হতেই রিক্সার চাঁপায় কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে । ময়লা ও মাটির উপরই করা হয়েছে কার্পেটিং এর কাজ। এমনকি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তড়ি ঘড়ি করে রাতের আধাঁরে কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে । গতকাল রবিবার বিকেল ৫টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কার্পেটিং কাজে ব্যবহৃত পাথরে কোন পিচ মিশ্রিত নেই বললেই চলে । আর তড়ি ঘড়ি করে যত্রতত্র ভাবে কার্পেটিং করায় একটুতেই অনেক জায়গার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এসময় স্থানীয় জনগন হাত দিয়ে রাস্তার কার্পেটিং তুলে এর প্রতিবাদ জানায়। দৌলতখান পৌরসভার প্রকৌশলী রাছেল এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে জানান, সিটিইআইপি প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দৌলতখান পৌরসভার পশুহাসপাতাল মোড় থেকে ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি টাকা চুক্তি মূল্যে ড্রেন সহ ১.৮ কি.মি. রাস্তা নির্মানের কাজ পায় ফরিদ উদ্দিন (ঠিকাদার)। তিনি আরো জানান রাস্তা নির্মানে অনিয়মের বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি। পৌর মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার জানান, রাস্তা নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । যেহেতু বিষয়টি ট্যাকনিকাল, আমি ইঞ্জিনিয়ারের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।