আরবী প্রাইভেট পড়িয়েই চলে শাহানুরের পড়াশোনা।। একটি গণশিক্ষা কেন্দ্র দেওয়ার দাবী

দ্বীপ জেলা ভোলার উত্তরে অবস্থিত রাজাপুর ইউনিয়ন আর ঐ ইউনিয়নের কন্দ্রকপুর গ্রামের এক মেধাবী ছাত্রী শাহানুর বেগম বাবা মৌলভী শহিদুল ইসলাম একটি মসজিদের ইমাম আর মা সেলাইমেশিনে সেলাই কাজ করে কোন রকম সংসার চালালে ও শাহানুর বেগম এর পড়া লেখার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে ঐ অসহায় পরিবারের।
শাহানুর বেগম মৌলভীরহাট হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ফাজিল ১ম বর্ষের ছাত্রী।
নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের আরবী শিক্ষা দিয়ে সামান্য কিছু টাকা পায় আর সেই টাকায় কোন রকম চলে মেধাবী শাহানুর বেগম এর পড়াশোনা।
শাহানুর বেগম বলেন, আমরা ৫ ভাই বোন বাবা মসজিদের ইমামতি করে মাসে তিন চার হাজার টাকা আয় করেন আর মা সেলাইমেশিন চালিয়ে অসুস্থ্য অবস্থায় যা আয় করে তা দিয়ে আমরা কোন রকম সংসার চালায় এবং আমি সহ আমার অন্যে ভাই বোন পড়াশোনা করি, সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয় আবার পড়াশোনা করাবে কি ভাবে? তাই আমি গ্রামের প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থীকে আরবী শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি তারা ৫০ টাকা কেউ আবার দেয় না এই ভাবে চলে আমার পড়াশোনা।
শাহানুর বেগম বলেন আমাদের এলাকায় কোন মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কেন্দ্র নেই যদি আমাদের এখানে একটি গণশিক্ষা কেন্দ্র দেওয়া হয় তাহলে এলাকার ছোট ছোট শিশুদের শিক্ষা ও হতো এবং আমার উপকার হইতো এই জন্য একটি গণশিক্ষার জন্য জোর দাবী জানান তিনি।
রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান খাঁন বলেন, শাহানুর বেগম আমার প্রতিবেশী আমি যতটুকু পারি সহযোগিতা করি,ওরা খুব অসহায় একটি গণশিক্ষা কেন্দ্র হলে কিছুটা হলেও পরিবারটির উপকার হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপ পরিচালক আবদুল কুদ্দুস বলেন, আমি ও চেষ্টা করবো এই অসহায় মেয়ে টি যেন কেন্দ্র পায়, আবদুল কুদ্দুস বলেন আমরা ও এই ধরনের অসহায় মেয়েদের দেওয়ার চেষ্টা করি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।