সর্বশেষঃ

বেলা যত বাড়ে শীতের তীব্রতাও তত বাড়ে

শীতকালে সাধারণত বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা কমে। তবে গত কয়েকদিন থেকে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহে গাইবান্ধায় যেন ঘটছে এর উল্টো। বেলা যত বাড়ে শীতের তীব্রতা ততই বাড়ে। এতে করে দুর্বিষহ কষ্ট দেখা দিয়েছে ছিন্নমূল মানুষদের মধ্যে। ঘনকুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দিনমজুর আব্দুল মমিন (৩২) জানান, সকালে তেমনটি শীত অনুভূত হয় না। বেলা যত বাড়ে হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতাও তত বাড়তে থাকে। ফলে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। উপার্জন না করতে পারলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খাব কী?

সদর উপজেলার বাদিয়াখালি বাজার ব্যবস্যায়ী আমিনুল ইসলাম জানান, শীতের কারণে দোকানের ক্রেতা কমে গেছে। এতে ব্যবস্যার ক্ষতি হচ্ছে।

সাঘাটা উপজেলার বুরুঙ্গী গ্রামের নুরুজ্জোহা জানান, শীতের হাত থেকে বাঁচাতে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে রাখছি।

এদিকে শহরের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে এখন মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা অস্বাভাবিক হারে গরম কাপড়ের দাম বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। ফলে দরিদ্র মানুষের পক্ষে শীতের কাপড় সংগ্রহ করা খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে। হঠাৎ করে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোশক বানানোরও হিড়িক পড়েছে।

লেখক ও কবি প্রতীক ওমর জানান, ছিন্নমূল অসহায় মানুষদের এমন তীব্র শীত মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যক্তি এবং কিছু সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে গরম কাপড় বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিরা এসব শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন এমন প্রত্যাশা নিয়েই তাকিয়ে আছে অসহায় মানুষগুলো।

শীতের তীব্রতার বিষয়ে বগুড়া আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সজিব হোসাইন জাগো নিউজকে জানান, আশা করা যাচ্ছে আগামীকাল রোববার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।