নরসিংদীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হামলায় নারীসহ আহত ৭
নরসিংদীর সদর উপজেলায় দুই দফায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তার সমর্থকদের হামলায় নারী-পুরুষসহ সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় মাইক্রোবাসসহ সাতটি গাড়ি ও বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নে খালপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম দফায় হামলা করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই শাহিদ হাসান পাপ্পু নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ আটজনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী সাদ্দাম হোসেন। কিন্তু মামলা দায়ের করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আসামিরা। শুক্রবার আবারও তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
হামলায় আহতরা হলেন, সনিয়া (২০), সেলিনা আক্তার (২৮), সুরিয়া বেগম (৩০), রেহেনা বেগম (২৫), ফকির আলী (৫০), নাদিম হোসেন (২৩) ও আলমাছ মিয়া (৩৫)। আহতদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পাপ্পু নিজেকে নরসিংদী সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দাবি করেন।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে খালপাড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের বসত বাড়ি দখল করতে আসেন একই ইউনিয়নের শাহিদ হাসান পাপ্পু। ১০-১৫ জনের একটি দল হামলা চালায় সাদ্দামের বাড়িতে। এ সময় সাদ্দামকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী ও বোনদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
মামলার বাদী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমার পরিবারের সবাইকে মেরে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। গ্যারেজে থাকা সাতটি গাড়ি ও ঘরবাড়ি সব ভাঙচুর করেছে। তাদের কাছে আমি জমি বিক্রি না করায় আমার বাড়ি দখল করতে আসছে।’
এদিকে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হাসান বলেন, ‘সাদ্দামের বাড়িতে যে হামলা হয়েছে, এটা খুবই অন্যায় কাজ হয়েছে। আমিসহ সবাই তার বিচার চাই। আমি সাদ্দামের পরিবারের পাশে আছি।’
মেহেরপাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবেদ খান সরকার বলেন, ‘পাপ্পু সদর উপজেলার অনুমোদনহীন কমিটির দপ্তর সম্পাদক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। তবে সে এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিতি।’
এ বিষয়ে নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাহেদ আহমেদ জানান, ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ গিয়েছে। পাপ্পুকে যেভাবেই হোক আটক করা হবে। হামলার ঘটনাটিকে খুবই দুঃখজনক বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।