দৌলতখানে রমরমা জুয়ার আসর হুমকির মুখে যুব সমাজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে যখন জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন ঠিক তখনই দৌলতখান চরপাতায় পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে জুয়ার আসর গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। ওই সিন্ডিকেটের কারনে জুয়ার ছোবল থেকে তাদের সন্তানদের বাঁচাতে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছেন অবিভাবকরা। আর ওই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের মালেক জিলাদারের ছেলে মিরাজ জিলাদার’রত ত্ববাধনে ৭ নং ওয়ার্ডের বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বসে এ জুয়ার আসর। এ জুয়ার আসর থেকে কামাল এবং মিরাজ ও তার সহযোগীরা কামিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আর এতে স্বর্বশান্ত হচ্ছে অনেক পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবার গুলো জানায়,এলাকার প্রভাবশালী মিরাজ ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা জুয়ার আসর বসিয়ে স্থানীয় যুবকদের এতে আসক্ত করছে। জুয়ায় আসক্ত হয়ে যুব সমাজ জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে।এলাকায় বেড়ে গেছে চুরি, ডাকাতি সহ নানা অসামাজিক কার্যকালপ। সরেজমিনে এই ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের নূরউদ্দিনের দোকান সংলগ্ন ধানক্ষেতে স্থানীয় ও বহিরাগত জুয়াড়িরা দিনের বেলায় জুয়া খেলছে। সাংবাদিক দেখে অন্য জুয়াড়িরা ছটকে পড়লেও স্হানীয় মিরাজ ও তার সহযোগীরা সাংবাদিকের দিকে তেড়ে আসে। এসময় সাংবাদিকের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে ঐ জুয়ারী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ও-ই মিরাজ ও কামালের নেতৃত্বে বসে জুয়ার আসর। সে এলাকায় জুয়া,মাদক ব্যবসা সহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে সম্পৃক্ত। এলাকায় তার দাপুটে অতিষ্ঠ অনেকেই ভয়ে কেউই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাননা। এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষ নিরবে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ সহ্য করে আসছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্হানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, এই এলাকায় মিরাজ কামালের জুয়া ও মাদকের আসর বসে।এই জুয়ার টাকা যোগান দিতে অনেক যুবক পারিবারের অবাধ্য হয়ে নানা অপকর্মে জরিয়ে পরছে। এলাকায় কেউ এই ব্যাপারে কথা বললে তাকে অপদস্ত হতে হয়। তাই কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। মিরাজ ও কামালদের নেতৃত্ব চলছে এসব জুয়ার আসর।
দৌলতখান অফিসার ইনচার্জ মোঃ বজলার রহমান জানান,জুয়া ও মাদক ব্যবসার সাথে যেই জড়িত থাকুক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে