সর্বশেষঃ

দৌলতখানে পরীক্ষা ছাড়াই প্রকাশ্যে পশু জবাই, নীরব কর্তৃপক্ষ

ফাইল ছবি

ভোলার দৌলতখান উপজেলায় প্রাণী সম্পদ বিভাগের পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই প্রকাশ্যে জবাই হচ্ছে গবাদি পশু। জবাই করা পশুর শরীরে কোনো রোগ-বালাই রয়েছে কিনা এমন কোনো ধারণা নেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

একদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা, অন্যদিকে জনসচেনতার অভাবের মধ্যে দিয়ে দৌলতখান উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও পৌর শহরে চলছে মাংস ক্রয়-বিক্রয়। আইন প্রয়োগের দায়িত্ব প্রাণী সম্পদ ও স্বাস্থ্য বিভাগের হলেও তাদের কোনো তৎপরতা নেই বললেই চলে। এভাবেই প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতা সাধারণ।

আজ বুধবার সকালে দৌলতখানের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকটি বাজারে ব্যবসায়ীরা গরু, মহিষ ও ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন। লোকচক্ষুর অন্তরালে জবাই করা গবাদিপশু বাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেন তারা। প্রতিটি গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্বে একজন চিকিৎসক থাকার কথা রয়েছে।

এলাকার সচেতন নাগরিকরা বলছেন, এসব গবাদিপশুর বিভিন্ন জটিল রোগ থাকতে পারে। পরীক্ষা ছাড়া গবাদিপশু জবাই করা এবং বিক্রি করা আইনত অপরাধ। কিন্তু এই আইন অমান্য করে বিভিন্ন বাজারে জবাই করা হচ্ছে গবাদিপশু।

আবদুল মালেক নামে একজন ক্রেতা বলেন, ‘পশু অসুস্থ নাকি সুস্থ ছিল আমরা তা অনেকেই জানি না। বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব কার-সংশ্নিষ্ট প্রশাসন, কর্তৃপক্ষের নাকি পশুস¤পদ বিভাগের তা সাধারণ মানুষের অজানা। নিয়ম অনুযায়ী, পশু জবাই করার আগে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র এবং পশুর শরীরে সিল দেবেন। সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের রোগ নির্ণয়ে কোনো ধরনের তদারকি না থাকার ফলে সাধারণ ক্রেতারা ভেজালমুক্ত মাংস কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ’

পৌর শহরের বাসিন্দা তোফায়েল জানান,লোকজন মারা যাওয়া গরুর মাংস খাচ্ছে নাকি রোগাক্রান্ত গরু-মহিষের মাংস খাচ্ছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।

গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ছাড়পত্র আছে কি নেই-এমন প্রশ্নের জবাবে মাংস ব্যবসায়ীরা বলেন, বেশির ভাগ গরু ভালো থাকায় ছাড়পত্র নেওয়া হয় না।

তবে এ মাসের মধ্যে কোনো পশু প্রাণিস¤পদ কর্মকতার কাছ থেকে পরীক্ষা করিয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে গরু বিক্রেতারা নীরব ভূমিকা পালন করেছেন।

দৌলতখান উপজেলা স্যানেটারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ মজুমদার বলেন, ‘আমরা তিনমাস পর পর বাজার তদারকি করে থাকি। তবে এই এ ব্যাপারে বোঝানো হয়েছে গরু- বিক্রেতাদের।’

দৌলতখান প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ডাক্তার পার্থ সারথী দত্ত বলেন, ‘কোরবানি উপলক্ষে মাংস ব্যবসায়ীরা কিছু গরুর ছাড়পত্র নিলেও বর্তমানে এখন তারা ছাড়পত্র নিতে আসে না। এ ছাড়া এক বছরের মধ্যে আমাদের কাছ থেকে দৌলতখান উপজেলার মাংস ব্যবসায়ীরা কোনো গরু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে আসেনি।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।