আজ ভোলা হানাদার মুক্ত দিবস
আজ ১০ডিসেম্বর ভোলা হানাদার মুক্ত দিবস। এদিনে ভোলা থেকে পাক হানাদার বাহিনী চলে যায়। এ দিবসটি উপলক্ষে ভোলা জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভোলা ইউনিট বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেবে।
১৯৭১ সালের মু্িক্তযুদ্ধ চলাকালীন পাক হানাদার বাহিনী ভোলা ওয়াপদা কলোনীতে প্রথম উঠেন ৩রা মে তারিখে। তার পর সেখানে থেকে ভোলার বিভিন্ন অঞ্চলে অপারেশন চালিয়ে নিরীহ জনগনের উপর অত্যাচার নিপীড়ন করেছে। একাত্তরের ১০ ডিসেম্বর ভোর বেলা পাকবাহিনী শহরের মোল্লা ঘাট থেকে একটি কার্গো জাহাজে করে ভোলা খাল দিয়ে এলোপাথারী গুলি ছুড়তে ছুড়তে যাওয়ার পথে চাঁদপুরের কাছে বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করলে পাক সেনারা মারা যায়। সেই পাক হানাদার চলে যাওয়ায় ভোলা হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে এ দিনটি পালন করে আসছে।
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ফরিদ হোসেন বাবুল বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলা বাজার এলাকা ও বোরহানউদ্দিন দেউলা এলাকায় পাক হানাদারদের সাথে সন্মুখ যুদ্ধ হয়েছিল। দেউলা চৌধুরী বাড়িতে এখনো পাকহানাদাদের সাথে যুদ্ধের সময়ের গুলির চিহ্ন রয়েছে, তা সংরক্ষন করা উচিত। তবে ভোলা বাসীর আজো মনে দুঃখ রয়েছে। তা হলো ভোলা ওয়াপদা কলোনীর পার্শ্বে যে বধ্য ভুমিতে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছিল।
মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুল আলম নিরব মোল¬ার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের সূর্য সন্তান। তারা দেশ মাতৃকাকে রক্ষায় তাদের জীবন বাজি রেখে দেশকে রক্ষা করেছে। তাদেরকে দলমত নির্বিশেষে মর্যাদা দেয়া উচিত। তিনি দলীয় সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে স্মৃতিসৌধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন। অন্যদিকে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক নির্মম ভাবে নির্যাতনসহ মৃত শহীদ মুক্তি যোদ্ধাদের ছবি ভোলা খেয়াঘাট ও ওয়াপদা কোলনী থেকে চুরি করে ছবিতুলে তা সংবাদ পত্রে প্রেরণ করেছিলেন বাংলারকণ্ঠ’র সম্পাদক এম. হাবিবুর রহমান। তিনি মুক্তি যোদ্ধাদের পরিবারকে যথাযথ নীতি মালার মাধ্যমে মর্যাদা দেওয়ার ও পাশাপাশি স্মৃতিগুলো সংরক্ষনের আহবান জানান।