লালমোহনে দাফনের ৯ দিন পর প্রতিবেশির মারধরে বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ
ভোলায় গ্রীণ লাইন ওয়াটার বাস সার্ভিস বন্ধে নতুন ষড়যন্ত্র
![](https://bholarbani.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ঢাকা-ভোলা রুটে চালু হচ্ছে গ্রীণ লাইন ভলভো ওয়াটার বাস সার্ভিস বলেছেন ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিকি। এমনটাই জানে ভোলার মানুষ। তারই ধারাবাহীকতায় গত ২২ নভেম্বর পরীক্ষামূলক ভাবে সার্ভিসটি যাত্রা শুরু করে। কর্তপক্ষ জানায় ১০ ডিসেম্ভর থেকে সার্ভিসটি নিয়মিত চলাচল করবে। ভোলার ২২ লক্ষ মানুষ এই আসায় বুক বাঁধলেও তা নিয়ে থাকে সন্দিহান। ভোলার লঞ্চ মালিক পক্ষের ষরযন্ত্রের গন্ডি পেরিয়ে আসলেই কি যাত্রা শুরু করতে পারবে কাঙ্কিত গ্রীণ লাইন! স্থানিয় প্রভাবশালী মহলকে পুঞ্জি করে ভোলার লঞ্চ মালিক পক্ষের ষরযন্ত্রের প্রতিফলন ঘটেছে । এ নিয়ে মানববন্ধন করাও তারই একটি পদক্ষেপ। ভোলার মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা জননেতা তোফায়েল আহমেদের দৃষ্টিতে আনার জন্য পরিকল্পিত ভাবে মানববন্ধনের আয়োজন করে ঐ কুচক্রি মহল। মানববন্ধনে আসা নারী পুরুষকে সাহায্যর প্রলোভন দেখিয়ে এবং ব্যাবসায়ীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মানববন্ধনে জড়ো করা হয়েছে বলে এমনটাই দাবী করছেন মানববন্ধনে আসা লোকজন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোলা পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসানের নের্তৃত্বে এলাকায় মাইকিং করে ইলিশার বাধঁ রক্ষা ও নদী ভাঙ্গনের অজুহাত দেখিয়ে সোমবার ৯ ডিসেম্ভর সকাল ১১ টায়, ভোলার জংশন বাজারে ব্যানার, ফেস্টুন সহ একটি মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে অংশগ্রহন কারী নারী,পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশুদের একধরনের প্রলোভন দেখিয়ে, পরিষদের ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে অংশগ্রহনে বাধ্য করা হয়। তাদের দাবী হচ্ছে, ১০ ডিসেম্ভর ঢাকা- ভোলা ইলিশার রুটে চালু হচ্ছে গ্রীণ লাইন ভলভো ওয়াটার বাস সার্ভিস । এই সার্ভিস চালু হলে ভোলার ইলিশার ব্লোক ও জিও ব্যাগ সহ জনগনের বাসতী, স্থাপনা নদীর গর্ভে বিলিন হওয়া ও জেলেদের জ্বাল ও নৌকার ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে তারা দাবী করে।
এই নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহন করতে আসা, ফিরোজা বেগম (৭০), ছালেহা বেগম (৮০), মোফাজ্জল (৬০) বলেন, তোফেল মিয়া আইবো, কাপর কম্বল দিব, এইর লাইগ্গা আইছি। বলু সর্দার (৭০),জাহাঙাগীর ্অলম (৬৫) শাহানুর বেগম (৬০) মনোয়ারা বেগম (৪৫) দরবেশ আলী (৭০) মোতাহার আলী (৬০) ও স্কুল ছাত্রী তানিয়া (১২) এর সাথে আলাপ করলে তারা বলেন, বলেন, মেম্বর কইছে আইছ, কি হইবো জানিনা।
এই বিষয়ে পুর্ব ইলিশার চেয়ারম্যান হাসনাইন আহমেদ হাসানের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য যে, ভোলার জংশন এলাকার ফেরীঘাট থেকে প্রায় ২০ বছর ধরে ভোলা -লক্ষীপুর ও ভোলা-ঢাকা রুটে, সি-ট্রাক, লঞ্চ,স্টিমার, কার্গো ও ফেরীসহ বড় বড় যাত্রীবাহী লঞ্চ যাতায়াত করছে। তাতে নদী ভাঙ্গ বা ব্লোকের কোন ক্ষতি হচ্ছেনা। শুধু মাত্র গ্রীণ লাইন ওয়াটার সার্ভিস চালু হলেই ব্লোক,নদী ভাঙ্গন সহ জেলেদের জাল-নৌকার ক্ষতি হবে এমনটা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, ভোলার ব্যাবসায়ী, সুশীল সমাজ ও সচেতন মানুষ। তারা বলছেন, যেহেতু ভোলা-ঢাকার সকল যাত্রীবাহী লঞ্চ চলে রাত্রি বেলা। দিনের বেলা কোন সার্ভিস চালু নাই বিধায় এই সার্ভিসটি চালু হওয়া প্রয়োজন বলে তারা মনে করছেন। এই সার্ভিসটি ঢাকা থেকে ফেরী ঘাটে ভীরবে, আবার ফেরী ঘাট থেকেই ছেড়ে যাবে। তাই ব্লক বা নদী ভাঙ্গনের সাথে এর কোন সম্পর্ক আছে বলে আমরা মনে করিনা
বিষয়টি নিয়ে ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিকি বলেন, গ্রীণ লাইন চালুর সাথে স্থানিয় নের্তৃবিন্দ ও সংশিলিষ্ট পরিচালনা কমিটি সার্ভিসটি চালুর বিষয়ে ব্যাবস্থা নিয়েছে। আমিও গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখবো।
ভিডিও——–
জেলেদের নৌকা ও জাল রক্ষায় মানববন্ধন করে কারা!!!!ভিডিও:- #এইচএম নাহিদ
Publiée par MD Ekram sur Lundi 9 décembre 2019