সর্বশেষঃ

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দ্যোগেই ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মাণ হবে : তোফায়েল আহমেদ

আজ (গতকাল) ভোলার জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। ডিসেম্বর মাস ও স্বাধীনতার মাস। এই দিনেই ভোলা-বরিশাল ব্রিজের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছি। ভোলা-বরিশাল ব্রিজ আমার দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দ্যোগে, তার নির্দেশে ও তার নেতৃত্বেই ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মাণ হবে। এবং এই ব্রিজের মাধ্যমেই দেশের মূল ভূখন্ডের সাথে ভোলা জেলা সংযুক্ত হবে। গতকাল ০৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোলা জেলা প্রশাসক’র সম্মেলন কক্ষে ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মাণ প্রস্তাবনা অগ্রগতির পর্যালোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভোলা-১ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাকে ২ হাজার ৭শত টাকা দিয়ে একটি হোন্ডা কিনে দিয়ে ছিলেন। সেই হোন্ডা দিয়েই আমি গ্রামে-গ্রামে ঘুরে বেড়িয়েছি। তখন ভোলায় তেমন কোন যোগাযোগ ব্যাবস্থা ছিলনা। আজ বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভোলা জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রাস্তাঘাট ও মানুষের জীবন যাত্রার মান বেড়েছে।
২০০৪ সালে বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের নেতৃত্বে গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যার পর তার জ্যোষ্ঠ্য কণ্যার হাতেই বঙ্গবন্ধুসহ সকল হত্যার বিচার হয়েছে।
গতবছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরিশালের এক জনসভায় ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন ভোলা-বরিশাল ব্রিজ করে দিয়ে ভোলা থেকে গ্যাস নিবেন। তাই তিনি ভোলা-বরিশালের মানুষকে শুভ সংবাদ জানিয়ে দিয়ে বলেন, ভোলা-বরিশাল ব্রিজ হতে চলেছে। এমন একদিন আসবে, যেদিন ভোলা-লক্ষীপুর ব্রিজও হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি বিশ্ব বিখ্যাত নেতা হয়েছেন। তিনি অঙ্গীকার করে বলেছেন ভোলা-বরিশাল ব্রিজ করে দিবেন। আমরা ভোলা জেলাকে সিঙ্গাপুরের আদলে সাজাতে চাই। ভোলার মানুষের মধ্যে কোন হিংসা বিদ্বেষ নেই। বর্তমানে ভোলার আওয়ামীলীগ খুবই শক্তিশালী। এখানে সর্বত্রই শান্তি বিরাজ করছে। বাংলাদেশের মধ্যে ভোলা হবে সবচাইতে আধুনিক ও সমৃদ্ধিশালী জেলা।
এ সময়ে সেতু বিভাগের সচীব মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ভূমিকার কারনেই ইতিমধ্যেই পদ্ধা সেতুর কাজ ৮৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ভোলার উন্নয়নের রুপকার তোফায়েল আহমেদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার ব্যায়ে সারে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ভোলা-বরিশাল ব্রিজটির কাজ ২০২১ সালের মধ্যেই শুরু করা হবে। পঞ্চ বার্ষিকীর প্রতিবেদনে ভোলা সেতু রয়েছে। ইতিমোধ্য ২০১৭ সালে ফিজিবিলিটিও ষ্টাবিলিটি চুড়ান্ত করা হয়েছে। যেখানে পদ্ধা সেতুর স্পেন’র গ্যাফ ১৫০ মিটার হয়েছে, সেখানে ভোলা-বরিশাল সেতুর স্পেনের গ্যাফ ২’শ মিটার ধরা হয়েছে।
অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, খাদ্য সচীব সাহাবুদ্দিন আহাম্দে, ভূমি সচিব মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারী, সেতু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোঃ আনোয়ার হোসেন ও যুগ্ন-সচিব (প্রশাসন) এস, এম, আলম, প্রধান প্রকৌশলী সেতু বিভাগ কাজী মোঃ ফেরদাউস, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আবুল হোসেন, ভোলার জেলা প্রশাসক মোঃ মাসুদ আলম সিদ্দিক, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাফিন মাহমুদ, ভোলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ মোশারেফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক আরজু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্ম ইউনুছ, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, ভোলার প্রবীণ সাংবাদিক এম এ তাহের, বাংলারকণ্ঠ’র সম্পাদক এম হাবিবুর রহমানসহ ভোলায় কর্মরত সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page