নামের মিলে ২৬ দিন কারাভোগ, ক্ষমা প্রার্থনা পুলিশের

রাজধানীর বংশাল থানার একটি মাদক আইনের মামলায় নামের মিল থাকার কারণে ২৬ দিন কারাভোগ করেছেন নিরপরাধ এক তরুণ। প্রায় এক মাস কারাগারে থাকার পর মূল আসামি গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ছাড়া পান তিনি। এমন ভুলটি হয়েছে পুলিশ কর্মকর্তার অসর্কতার কারণে। তবে আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করে পার পেয়ে গেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মামোনুর রশীদ। তিনি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই)।

আজ বুধবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

ট্রাইব্যুনালে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূইয়া এবং ভিকটিম রাজন ভূইয়ার আইনজীবী নিকুঞ্জ বিহারী আচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান শুনানি শেষে ভবিষ্যতে সতর্কতার সহিত কাজ করবেন বলে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় এসআইকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

এদিকে এই মামলার মূল আসামি মো. হাবিবুল্লাহ রাজন একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

জানা গেছে, রাজধানীর বংশাল থানায় একটি মাদক মামলার মূল আসামি মো. হাবিবুল্লাহ রাজন। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকায় গত ১৬ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার গোপালনগর গ্রামের গাড়ির ওয়ার্কশপের কর্মচারী মো. রাজন ভূইয়াকে (১৯) এ মামলায় গ্রেপ্তার করেন ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মামোনুর রশীদ। পরে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে রাজন ভূইয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পরবর্তীতে পরোয়ানায় যে মামলার নম্বর ছিল সে অনুযায়ী রাজন ভূইয়ার স্বজনরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, এই মামলার যিনি প্রকৃত আসামি তার নাম মো. হাবিবুল্লাহ রাজন, পিতা-আব্দুল মান্নান এবং গ্রামের ঠিকানা একই। ওই ব্যক্তি ২০১২ সালের ৯ মে ২৮ পিস নেশাজাতীয় ইনজেকশনসহ রাজধানীর বংশাল থানাধীন তাঁতীবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন। পরে জামিন পেয়ে আত্মগোপন করেন। ওই মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি হাবিবুল্লাহ রাজনকে গ্রেপ্তার না করে একই গ্রামের মো. রাজন ভূইয়াকে (১৯) গ্রেপ্তার করেন ব্রাক্ষণপাড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মামোনুর রশীদ।

ওই মামলায় গত ১১ নভেম্বর রাজন ভূইয়া মুক্তির আবেদন করলে আদালত তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন এবং এসআই মামোনুর রশীদকে ভুলের বিষয়ে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।