সন্তানদের গলা কেটে হত্যার পর ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে দম্পতির আত্মহত্যা!
দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর আবাসিক ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক দম্পত্তি।
মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে।
একই সময়ে ওই ভবন থেকে আরও এক নারী ঝাঁপ দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, ভোর পাঁচটার দিকে আবাসিক ভবনের বাইরে মাটিতে এক জন পুরুষ ও দুজন নারীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন নিরাপত্তারক্ষী।
রক্তে ভেসে যাচ্ছিল চারপাশ। গোঙানির আওয়াজ শুনে আরও একটু এগোতেই দেখেন তাদের মধ্যে এক নারী তখনও জীবিত। সঙ্গে সঙ্গে ভবনের অন্য বাসিন্দাদের খবর দেন ওই নিরাপত্তারক্ষী। এরপর খবর দেয়া হয় পুলিশকে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায় মন্দা চলছিল গুলশানের। ধার-দেনাতেও জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। ফলে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছিলেন।
তাই আত্মহত্যার পথই বেছে নেন ওই ব্যবসায়ী। দুই সন্তানকে খুন করার পর স্ত্রীকে নিয়ে ভবন থেকে ঝাঁপ দেন। গুলশনের ফ্ল্যাট থেকে তার দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গাজিয়াবাদ পুলিশের এক কর্মকর্তা সুধীর কুমার জানিয়েছেন, ফ্ল্যাটের একটি ঘর থেকে ব্যবসায়ীর দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার হয়েছে। একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে ঘর থেকে। সেই নোটের পাশেই রাখা ছিল বেশ কিছু টাকা।
পুলিশ জানিয়েছে, সেই টাকা যেন তাদের সত্কারে ব্যবহার করা হয়, এমনটাই সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন গুলশান।
তবে শুধুই কি ব্যবসায়িক মন্দা, নাকি এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রশ্ন উঠেছে, দ্বিতীয় নারী কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন? রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে এখানেও। কে ওই নারী?
কেউ বলছেন, দ্বিতীয় নারী গুলশানের বিজনেস পার্টনার। কেউ আবার বলছেন, ওই নারী গুলশানের দ্বিতীয় স্ত্রী।
সপরিবারে গুলশান কেন আত্মহত্যা করলেন সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টার পাশাপাশি, আহত অন্য নারীর পরিচয় এবং গুলশানের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।