সর্বশেষঃ

সৎ পথে ‘নুন-ভাত’ খাওয়া ভালো : প্রধানমন্ত্রী

অসৎ পথে বিরিয়ানি খাওয়ার চেয়ে সৎ পথে লবণ-ভাত খাওয়া ভালো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধনামন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে তিন দিনের সফরে স্পেনে পৌঁছে স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় মাদ্রিদের হোটেল ভিলা ম্যাগনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অসৎ পথে থেকে “বিরিয়ানি” খাওয়ার চেয়ে সৎ পথে থেকে “নুন-ভাত” খাওয়া অনেক ভালো। আমরা জাতির জনকের কাছ থেকে এই শিক্ষা পেয়েছি। আমাদের নতুন প্রজন্মকে এই শিক্ষা দিতে হবে।’

সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজের এই ‘অসুস্থতা’ নির্মূল করা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ২১ বছর ধরে দেশ শাসনকারীদের অপকর্মের কারণে অনেক ময়লা ও আবর্জনা জমে গেছে এবং মানুষের চরিত্রে ভাঙ্গন ধরেছে।’

স্পেনে ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

নিজেকে বাংলাদেশের জনগণের ‘সার্বক্ষণিক কর্মী’ হিসেবে অভিহিত করে শেখ হাসিনা জানান, তিনি জনসাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণের একজন সার্বক্ষণিক কর্মী। আমি বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছি যাতে শহর ও গ্রাম উভয় এলাকার মানুষ আমাদের কাজের সুফল পেতে পারে। এক শ্রেণির মানুষ ঘুষ-দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে, সন্ত্রাস করে, লোকজনের সম্পদ ছিনিয়ে নিয়ে বিলাসী জীবন-যাপন করতে চায় এবং তারা বলতে চায় যে, “মুই কি হনুরে”।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কিন্তু আমরা চাই জনগণের মধ্যে এই ধরনের মানসিকতা থাকবে না এবং সমাজের এই অসুস্থতা নির্মূল করতে হবে।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতি থেকে খেলাধূলা সকল ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নাম শুনলে অন্য দেশের মানুষ এখন বাংলাদেশকে সম্মান করে। কিন্তু তারা আগে জানত যে, বাংলাদেশ হচ্ছে বন্যা, খরা, দুর্ভিক্ষ ও দুর্নীতির দেশ।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছি। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্র্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু এখন সে দুর্নাম ঘুচে গেছে।’

প্রধানমন্ত্রী দেশের অদম্য অগ্রগতি অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, যাতে বাংলাদেশকে আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাতে না হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে যাচ্ছি যাতে আগামী প্রজন্ম একটি সুন্দর জীবন লাভ করে।’

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।