বোরহানউদ্দিনে বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৪ পালিত, সম্মাননা পেলেন ৫ জয়িতা
দেশে কখন কি হবে বলা যায় না: আব্বাস
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, দেশে কখন কি হয় বলা যায় না।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি। বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া এবং দলটির কেন্দ্রীয় সহ-সংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানের নামে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, আন্দোলনের আগেই আওয়ামী লীগ ভয় পেয়ে গেছে। কারণ তাদের গণভিত্তি নেই। প্রশাসনই আওয়ামী লীগের একমাত্র ভরসা।
কারাবন্দি দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ। তার সঙ্গে এখন আর দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। সন্দেহ হচ্ছে তাকে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করা হচ্ছে কি না ক্ষতি করার জন্য।’
খালেদা জিয়ার ক্ষতি হলে তার হিসাব জনগণ নেবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপির এই নীতিনির্ধারক। আগামী ৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে খালেদা জিয়ার শারীরিক সঠিক অবস্থা তুলে ধরার আহবান জানান তিনি।
কথা বললেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এমনটা দাবি করে বিএনপি নেতা আব্বাস বলেন, ‘আমরা এমনই এক স্বাধীনতা পেয়েছি যেখানে কেউ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না। কথা বললে গ্রেপ্তার করা হয়। বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি গর্বিত যে ৩৫ লাখ নেতাকর্মী আছে বিএনপির গ্রেপ্তার হওয়ার মত। এতেই আওয়ামী লীগের সতর্ক হওয়া উচিত।’
আগের আওয়ামী লীগ এখন আর নাই এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপির যতগুলো কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে, এতগুলো কর্মীও আওয়ামী লীগের নেই। শুধুমাত্র পুলিশ পেটোয়া বাহিনীর জন্য এই অবৈধ সরকার টিকে আছে। এই পেটোয়া বাহিনী ছাড়া এক মিনিটও টিকে থাকার শক্তি বা ক্ষমতা এই আওয়ামী লীগ সরকারের নাই।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিনা রহমান, কুদ্দুসুর রহমান মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাইফুল আলম নীরবসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।