লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাফুরিয়া ব্রিকস ফিল্ডে ইট বিক্রি ও কাজ করার অভিযোগ
লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাফুরিয়া ব্রিকস ফিল্ড থেকে ইট বিক্রি ও ফিল্ডে অন্যান্য কাজ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ব্রিকস ফিল্ড থেকে মূল মালিককে বিতাড়িত করে জোরপূর্বক দখল করার জন্য মাটি খনন, লাখড়ি সরবরাহ করে ষড়যন্ত্রকারি দখলদার মহল ইট তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান ভুক্তভোগী মালিক পক্ষ।
জানা যায়, লালমোহন উপজেলার রায়চাঁদ মৌজার এস এ ৬৮নং খতিয়ানের ৭২৬ দাগভুক্ত ২.৯৪ শতাংশ জমি চরফ্যাশন উপজেলার গাফুরিয়া ইছালে ছওয়াব মাহফিল কমিটি থেকে বাৎসরিক ৬০ হাজার টাকা করে দেয়ার চুক্তিতে ২০১৭ইং সালে ১৫ বছরের জন্য লিজ নেন ভোলা দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের ফারুক ও চরফ্যাশনের ওমরপুর গ্রামের মাইন উদ্দিন। বহু টাকা ব্যয় করে ব্রিকস ফিল্ডের কাজ শুরু করেন। ব্রিকস ফিল্ডের লাভ দেখে এর প্রতি লোলুপ নজর পড়ে গাফুরিয়া ইছালে ছওয়াব মাহফিল কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান, আফজানুল হোছাইন ও লালমোহনের আলমগীর গংদের । জোরপূর্বক দখল করতে নানাভাবে পায়তারা দিতে থাকে। ব্রিকস ফিল্ডের মালিককে হুমকি ধামকি ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করতে থাকে। জমি লিজের চুক্তিপত্রে কমিটির সভাপতি হিসেবে মিজানুর রহমান স্বাক্ষর করেছেন।
এখন নিজেই আবার নিজ নামে বা তার স্ত্রী, ভাই কিংবা অন্য কোন নিকটজনের নামে কাগজ ব্রিকস ফিল্ডের কাগজ তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বিভিন্নভাবে ব্রিকস ফিল্ডের মালিক ফারুক মিয়া ও মাইন উদ্দিনকে তাদের ভোগ দখলীয় ব্রিকস ফিল্ড ছেড়ে চলে যেতে বলে। তাতে রাজি না হওয়ায় মিজানুর রহমান গংরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ফিল্ডে ইট বিক্রি ও মালামাল আনা-নেয়া করতে এবং মালিক পক্ষকে ফিল্ডে আসা-যাওয়ার পথে বাধাগ্রস্ত করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ক্যাডার ও লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে উত্যক্ত করতে থাকে। পরে মোঃ ফারুক মিয়া বাদী হয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেন। যার নং এমপি ২৬৬/২০১৯ (লাল)।
বিজ্ঞ আদালত উক্ত ব্রিকস ফিল্ডে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন। লালমোহন থানার এএসআই মোঃ ইয়াকুব খান রায়চাঁদ গাফুরিয়া ব্রিকস ফিল্ডে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের লোকজন ডেকে আদালতের নির্দেশ সকলকে শুনিয়ে উক্ত ব্রিকস ফিল্ডের সকল ধরনের কাজকর্ম বন্ধ করে দেন। কিন্তু প্রভাবশালী মিজানুর রহমান গংরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাফুরিয়া ব্রিকস ফিল্ডে তাদের জবরদখল ও আধিপত্য বিস্তার চালিয়ে যায়। আইন প্রশাসনের কোনপ্রকার তোয়াক্কা না করে ব্রিকস ফিল্ড থেকে ফারুক মিয়া ও মাইন উদ্দিনের তৈরি ইট বিক্রি করতে থাকে এবং মাটি খনন করে নতুন ইট তৈরির প্রস্তুতি নিতে থাকে।
লাঞ্ছিত হওয়া ও প্রাণে মেরে ফেলবে এমন ভয়তে ফিল্ড যেতে পারছেন না বলে জানান ভুক্তভোগী মালিক পক্ষ। গত ৬/৭/২০১৯ইং তারিখে ফারুক মিয়া ব্রিকস ফিল্ডে যাওয়ার জন্য ভোলা থেকে রওয়ানা হয়ে গজারিয়া বাজার পর্যন্ত পৌঁছলে আলমগীর ও মিজানুর রহমানসহ আরো কয়েকজন মিলে ফারুক মিয়াকে জোরপূর্বক বাস থেকে নামিয়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখে।
পরে এ ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করেন। যার নং ২০৯/২০১৯ (ভোলা)। গাফুরিয়া ব্রিকস ফিল্ডের মালিক ফারুক মিয়া ও মাইন উদ্দিনকে মামলা তুলে নিতে ও ব্রিকস ফিল্ড ছেড়ে দিতে প্রভাবশালী মিজানুর রহমান গংরা নানাভাবে হুমকি ধামকি ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন তারা। গাফুরিয়া ব্রিকস ফিল্ড মালিক ভুক্তভোগী ফারুক মিয়া ও মাইন উদ্দিন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেন।