সর্বশেষঃ

ভোলায় খোলা বাজারের আটার চাহিদা বেড়েছে তিন গুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোলার সরকারি খোলা বাজারের আটার চাহিদা আগের চেয়ে তিনগুন বেড়েছে। সরকারি নির্ধারিত ডিলারের দোকানে প্রতিদিনই খোলা বাজারের আটা ক্রয় করার জন্য নারী-পুরুষের ভিড় লক্ষণীয়। বাজারের দোকানের চেয়ে কম দামে খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত ওএমএস (খোলা বাজার) দোকানে আটা ক্রয় করার জন্য লাইনে দাঁড়িয় নারী-পুরুষরা খোলা বাজারের সরকারি আটা ক্রয় করছেন।
জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত ভোলা পৌরসভার ১০ টি ওএমএস দোকান পয়েন্টে খোলা বাজারে আটা বিক্রি করা হয়। প্রতিটি ওএমএস (খোলা বাজার) পয়েন্টের দোকানে দৈনিক ১০০ জন গ্রহকের কাছে সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে বিক্রির জন্য ৫০০ কেজি করে আটা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। আর এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১৮ টাকা। সপ্তাহে ৬ দিন বিক্রি নিয়ম রয়েছে। এদিকে সারা বছর এ আটার চাহিদা থাকলেও বর্তমাণে এ আটার চাহিদা বেড়েছে তিন গুন। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ নেই খাদ্য অধিদপ্তরের।


ক্রেতা আলম, মানিক ও হারুন জানান, ভোলার বাজারের এ আটার দাম ৩০-৩৫ টাকা। কিন্তু আমরা ওএমএস দোকান পয়েন্ট থেকে মাত্র ১৮ টাকা দামে ক্রয় করতে পারি। এতে আমাদের টাকা অনেক বেঁচে যায়। তারা আরো জানান, একজন ৫ কেজির বেশি ক্রয় করতে পারে না। যদি আরো বেশি ক্রয় করা যেত তাহলে আমাদের জন্য ভাল হতো।
শাহিদা, আয়েশা, পারভিন ও হাফসানা জানান, বাজারের আটার চেয়ে এ আটা অনেক ফ্রেস। বাজারের আটার মধ্যে অনেক ভেজাল থাকে। কিন্তু ওএমএস (খোলা বাজার) দোকানের আটায় কোন ভেজাল নেই। এছাড়াও বাজারের চেয়ে দাম কম। এবং ওজনও ঠিকমত দেওয়া হয়। তারা আরো জানান, কম দামে ভাল মানের আটা কিনার জন্য আমরা ওই দোকান পয়েন্টে লাইনে দারিয়ে আটা ক্রয় করি। এছাড়াও দৈনিক ১০০ জনের বেশি ও জন প্রতি ৫ কেজির বেশি আটা দেওয়ার দাবী তাদের।


অন্যদিকে ভোলা খাদ্য অধিদপ্তরের অনুমোদিত ময়দার মিল খাঁন ফাওয়ার মিলের মালিক মোঃ জামাল উদ্দিন খাঁন জানান, ভোলার ১০টি ওএমএস (খোলা বাজার) দোকানের প্রতিদিন আমরা ৫ টন করে আটা সরবারাহ করি। আমরা মানুষের কথা চিন্তা করে কোন প্রকার ভেজাল ছাড়াই সম্পূর্ণ ভাল ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে এ আটা তৈরি করি। যার কারণে বাজারের দোকানের বেশি দামের আটার চেয়ে এ আটা অনেক ভাল ও মান সম্মত হওয়ায় মানুষের কাছে দাহিদা অনেক বেশি।
ভোলা জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক তৈয়ুবুর রহমান জানান, ভোলায় ১০টি ওএমএস (খোলা বাজারে) দোকানের দৈনিক ৫ টন আটা বিক্রির কথা থাকলেও সব মানুষের মাঝে সুন্দরভাবে এ আটা বিতরণের জন্য আমরা ১০ টি ওএমএস (খোলা বাজারে) দোকান ডিলার দিয়েছি। তারা সততার সাথে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে আটা বিক্রি করেন। ওজন ও ভেজালেও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো জানান, এ আটার মান বাজারের খোলা আটার চেয়ে অনেক ভাল হওয়ায় এটির চাহিদা অনেক বেশি। এছাড়াও বর্তমাণে এর চাহিদা বেড়েছে তিনগুন। তবে চাহিদার চেয়ে অনেক কম আটা বিক্রির করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।