এবার ভাঙছে আ স ম আবদুর রবের জেএসডি
সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোতে অভ্যন্তরীণ বিবাদে ভাঙা-গড়ার খেলায় এবার যোগ হয়েছে আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি। আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেএসডি সভাপতি রবের ডাকা কাউন্সিল বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ১১ জানুয়ারি পৃথক সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রতন এই সম্মেলনের ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক রবের জেএসডি। ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের জোটসঙ্গী লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিও (এলডিপি) কয়েক দিন আগে ভেঙে দুই টুকরা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মালেক রতন বলেন, জেএসডির নেতৃত্বে একাংশ আজকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা, দলের অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাজনীতি এবং রাজনীতির আপদ-বিপদ হিসেবে পরিচিত শক্তির বিরুদ্ধে তৃতীয় শক্তি গড়ে তোলার অঙ্গীকার ভুলে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী দল ও গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত গড়ে তুলেছে। ঐ অংশটি ২৮ ডিসেম্বর যে কাউন্সিল আহ্বান করেছে তা দলীয় বিধিসম্মত নয় বলে আমরা মনে করি। এ জন্যই আমরা অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ কাউন্সিল বর্জন করে ১১ জানুয়ারি কনভেনশনের মাধ্যমে দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র সুনিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রসঙ্গত, একাদশ সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার দেবীদ্বার থেকে রতন ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।
এক প্রশ্নের জবাবে রতন বলেন, আমরাই মূল জেএসডি। ওরা মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। দলের বিভক্তির জন্য কারা দায়ী, প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই অবস্থার জন্য দলের নেতৃত্বের একাংশ দায়ী। আমি যেহেতু দলের সাধারণ সম্পাদক, দলের নেতৃত্বের আরেকটা অংশ আছে। সেটা কে তা আপনারাই বুঝতে পারছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেএসডির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউল করীম ফারুক। লিখিত বক্তব্যে ঐক্যফ্রন্টের দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়, প্রথমে ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনী ঐক্য বা সমঝোতা বলা হলেও নির্বাচনের পর একে ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর করা হচ্ছে আঙুল কেটে রক্ত দিয়ে শপথের মধ্য দিয়ে। সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র সহসভাপতি এম এ গোফরানসহ কয়েক জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।