রাজধানীতে আবারও বেড়ে চলছে দেশি পেঁয়াজের দাম।

রাজধানীতে আবারও বেড়ে চলছে দেশি পেঁয়াজের দাম।
দেশে কয়েক মাস ধরে পেঁয়াজের সংকট অব্যাহত রয়েছে। এ সংকট কাটাতে চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। গেল সপ্তাহে কিছুটা দাম কমলেও চলতি সপ্তাহে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। কয়েক দফায় আমদানি করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলোনায় কম।
গতকালের তুলনায় কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২শ থেকে ২১২টাকা দরে। এছাড়া মিশর ও চীনের পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা এবং পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে।
এছাড়া অবৈধ পথে আসা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের বাজার আবারো অস্থির হয়ে ওঠেছে।
রাজধানী ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে গতকাল দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়, মিসরের পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১০৪ টাকায়, চায়নার পেঁয়াজ ১০০ টাকায়, পাকিস্তান থেকে বিমানযোগে আসা পেঁয়াজ ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
গত ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় পাকিস্তানের করাচি থেকে কার্গো উগোজাহাজে করে ৮২ টনের পেঁয়াজের প্রথম চালান আসে। এর আমদানিকারক ঢাকার শাদ এন্টারপ্রাইজ।
পেঁয়াজের সংকট কাটাতে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছে দেশের বৃহৎ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এস. আলম গ্রুপ। এ প্রতিষ্ঠানটি মোট ৫৮ হাজার ৫০০ শত মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করছে বলে জানা যায়। এর মধ্যেই প্রায় ২০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে এসে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে ১০টি কার্গো উড়োজাহাজ বুকিং নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত। দেশটিতে পেঁয়াজের অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে চাপ পড়ে। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ থেকে ৪০ টাকার পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়।