সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান : দল পেল নতুন নেতৃত্ব

যুবলীগের চেয়ারম্যান পরশ, সম্পাদক নিখিল

সকল জল্পনা আর কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ঘোষণা করা হলো যুবলীগের নতুন কমিটি। এ কমিটিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে। যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে চেয়ারম্যান হিসেবে শেখ ফজলে শামস পরশের নাম প্রস্তাব করেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলাম, সমর্থন করেন সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হলেন তিনি।
যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির সন্তান শেখ ফজলে শামস পরশ এর আগে দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত না হলেও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ব্যক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের আস্থাভাজন ছিলেন। শেখ ফজলুল হক মনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম প্রধান গেরিলা বাহিনী মুজিব বাহিনী তার নির্দেশে ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গঠিত এবং পরিচালিত হয়।
এদিকে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সংগঠনটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সদ্য সাবেক সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল। বিকালে যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে তাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
এর আগে সাধারণ সম্পাদক পদে সাতজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। তারা হলেন মহি, নিখিল, বেলাল, সুব্রত, মনজুর আলম শাহিন, আল মাহমুদ বাবলু ও বদিউল আলম। এর মধ্য থেকে নিখিলকে বেছে নেওয়া হয়। এর আগে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন হারুনুর রশিদ।
ক্যাসিনো, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে যুবলীগ নেতাদের নাম জড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি শুদ্ধি অভিযানের ঘোষণা দেন। এক পর্যায়ে ঢাকায় ক্যাসিনো বন্ধে অভিযানে নামে র‌্যাব। এতে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী স¤্রাটসহ যুবলীগের কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হন। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছিলেন যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান ওমর ফারুক। ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে থাকা যুবলীগ নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার অভিযোগ আসতে থাকে তার বিরুদ্ধেও। এক পর্যায়ে শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগ চেয়ারম্যানের দায়িত থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। আগামী ৩ বছর এ কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।