এসএসসির ফরম পূরণ করতে এসে জানলো জেএসসিতে ফেল করেছিল!
টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এসএসসির ফরম পূরণ করতে গিয়ে শিক্ষার্থী জানলো সে জেএসসি পরীক্ষাই পাশ করেননি।
অথচ রেজিস্ট্রেশনের পর দুই বছর নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গেড়ামারা সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
সূত্র জানায়, টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর সম্প্রতি বিদ্যালয়ে এসএসসির ফরম পূরণ করতে যান চান্দুলিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে ফারজানা আক্তার। তবে তাকে ফরম পূরণ করতে দেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছিল ফারজানা।
এদিকে এমন খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জেএসসি পাশ না করেই কি করে এই শিক্ষার্থীকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হলো এবং টানা দুই বছর লেখাপড়া করে এসএসসি পরীক্ষার্থী হলো সে বিষয়ে প্রশ্ন করছেন গ্রামবাসী।
এ ব্যাপারে গেড়ামারা সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ফারজানা নামে দশম শ্রেণিতে কামারপাড়া গ্রামের এক ছাত্রী রয়েছে। সে ওই ফারজানার রোল নম্বর দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে গেড়ামারা সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ফারজানা। সে পরীক্ষায় পাশ করে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে মানবিক শাখায় ভর্তি হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নবম শ্রেণিতে তাকে নিবন্ধন করে। ২০১৮তে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দশম শ্রেণিতে ভর্তি হয় ফারজানা।
এরপর চলতি বছরের ১৫ অক্টোবরে শুরু হওয়া নির্বাচনী পরীক্ষায় ফারজানা সব বিষয়ে উত্তীর্ণ হয়ে এসএসসির ফরম পূরণের উদ্দেশে ৪ হাজার ২৫০ প্রদান করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছিল একথা বলে দু’দিন পরে ফারজানাকে টাকা ফেরত দেয় কর্তৃপক্ষ ।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল মালেকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছেও অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছে সে।
অনুলিপি পাওয়ার পর মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ বলেন, হা আমরা ওই ছাত্রীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।