ভোলায় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনের শিকার হয়ে মামলা দায়ের করায় হুমকিতে ভীত হয়ে নিজের স্বামীর বাড়িতে যেতে পারছেন না ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওর্য়াডের ১১ তারিখ সংলগ্ন এলাকার হাসমত হাওলাদার বাড়ির লোকমানের স্ত্রী সিমু বেগম। গত ২০ দিন যাবত শ্বশুর বাড়ির লোকজনের হুমকিতে ভীত হয়ে সন্তানকে নিয়ে নিজের বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন সিমু বেগম। নির্যাতিতা গৃহবধূ সিমু বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে আমি আমার স্বামী ও এক সন্তানকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাডীতেই বসবাস করতেছিলাম। বিয়ের পর থেকেই আমার শাশুড়ি রোকেয়া বেগম, ননদের ছেলে সোহাগ এবং ননদ আয়েশা বেগম দীর্ঘদিন ধরে ছোট খাটো যেকোনো বিষয় নিয়ে আমাকে গালি-গালাজ করত এবং আমার উপর সব সময় মানসিক অত্যাচার করত। এসব বিষয় নিয়েই আমার সাথে তাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত ৩১শে অক্টোবর আমার ননদের ছেলে সোহাগ আমার কলা গাছের বাগানে একটি ছাগল বাঁধে। ঐ ছাগলটি আমার কলাবাগানের কয়েকটি গাছের পাতা খেয়ে ফেলে। তখন আমি ছাগলটিকে আমার বাগান থেকে নিয়ে পাশের খোলা স্থানে বেঁধে রাখি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ননদের ছেলে সোহাগ, শাশুড়ি রোকেয়া বেগম এবং আমার ননদ আয়েশা বেগমের সাথে তর্কাতর্কি হয়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে আমার ননদের ছেলের সোহাগ আমাকে লাঠি দিয়ে বেধরক মারতে থাকে। আমার শ্বাশুড়ি এবং ননদ ও আমাকে কিল-ঘুসি মারতে থাকে এবং আমাকে কামড়ে জখম করে। এ ঘটনায় আমি তিনদিন ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আমি কিছুটা সুস্থ্য হয়ে গত ৩ নভেম্বর তারিখে ভোলা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করি যার নং-৫ । মামলা দায়ের করার পর থেকে আমার ননদের ছেলে সোহাগ মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে অনবরত হুমকি দিয়ে আসছে এবং আমি আমার স্বামীর বাড়িতে ফেরত গেলে আমাকে আবারো মারধর করবে বলে হুমকী দিচ্ছে। সোহাগ আমার স্বামী লোকমানকেও অনবরত হুমকি দিয়ে আসছে। আমি ভয়ে আমার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যেতে পারছি না। এ ঘটনায় আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আরমান হোসেন বলেন, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাদীন রয়েছে। আমি কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আসামীরা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। বাদী সুমি বেগম নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় ভুগলে আমাকে জানালে আমি তদন্ত সাপে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।