সর্বশেষঃ

সংকট কাটাতে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে বিমানে

নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়া পেঁয়াজের বাজার সামাল দিতে বিমানে করে নিত্যপণ্যটি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সসরকার। মিশর ও তুরস্ক থেকে বিমান যোগে আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি এই পেঁয়াজ ঢাকায় পৌঁছাবে।

এমন তথ্য জানিয়ে শুক্রবার বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন বলেন, এ জন্য কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সরকার মিশর ও তুরস্ক থেকে বিমানযোগে পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী সোম অথবা মঙ্গলবার এই পেঁয়াজ দেশে এসে পৌঁছাবে। তারপর টিসিবির মাধ্যমে সারা দেশে ব্যাপকভিত্তিতে পেঁয়াজ বিপণন করা হবে।’

দেড় মাসের বেশি সময় পেঁয়াজের দাম নিয়ে অস্থিতিশীলতা চলছে বাজারে। সরকারের নানমুখী উদ্যোগ, বড় কয়েকটি শিল্পগৌষ্ঠীর বৃহদাকারে আমদানির ঘোষণা ও বাজার মনিটরিং করে জেল-জরিমানাতেও দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি পেঁয়াজের। উল্টো সকালে-বিকালে লাফাতে লাফাতে এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ আড়ইশ টাকার ঘরে গিয়ে ঠেকেছে।

ফলে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর মাধ্যমে সরাসরি তুরস্ক থেকে এবং এসআলম গ্রুপসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মিসর, আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে জরুরি ভিত্তিতে এ পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে আমদানি করা পেঁয়াজ নৌপথেই দেশে আনা হতো।

পেঁয়াজ নিয়ে উদ্ভূত এমন পরিস্থিতিতে অন্যদের ওপর নির্ভরতা বাদ দিয়ে সরকারিভাবেই পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব।

তিনি বলেন, ‘এই প্রথম সরকার নিজ উদ্যোগে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে। পরিস্থিতি এখন সেই পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশের মাঠ থেকে নতুন পেঁয়াজ আসার আগ পর্যন্ত এবং সমুদ্র পথে পেঁয়াজ আসার আগ পর্যপ্ত এভাবে চালিয়ে নেওয়া হবে।’

বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানি করতে কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু মিশর তুরস্ক নয়, ইউক্রেইন, আফগানিস্তানসহ আরও কয়েকটি দেশ থেকে বিমান যোগে পেঁয়াজ আনতে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।