মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদে চাকুরি নেওয়া রাজস্ব কর্মকর্তার ১৬ বছরের কারাদণ্ড
বাবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার চাকুরি নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মো. মনিরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে ১৬ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে রায়ে সকল ধারার সাজা একযোগে কার্যকর করার আদেশ থাকায় আসামিকে সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ মো. শহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ দণ্ডবিধির তিনটি ধারায় এ সাজার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত মনিরুজ্জামান মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার তেবাড়ীয়া গ্রামের মো. আব্দুস সামাদ ও মরিয়ম বেগম ওরফে ময়না বেগম দম্পতির ছেলে।
রায় সম্পর্কে আদালতে দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. রেজাউল করিম জেরা জানান, ১৬ বছর কারাদণ্ডের সাজার মধ্যে প্রতারণার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় সাত বছর, প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতির অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় ৭ বছর এবং জেনে-শুনে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ ব্যবহার করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় দুই বছর কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।এছাড়া তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে রায়ে সকল ধারার সাজা একযোগে কার্যকর মর্মে আদেশ থাকায় আসামিকে সাত বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি মনিরুজ্জামান পলাতক ছিলেন। তাই রায়ে সে গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে সাজা গণনা শুরু হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালত রায়ে বলেছেন, আসামি মনিরুজ্জামান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না হয়েও তার বাবা মো. আব্দুস সামাদের নাম ঠিকানা ব্যবহার করে প্রতারণামূলকভাবে জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সনদ তৈরি এবং নিজে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রত্যায়নসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র তৈরি করে তা দাখিল করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় চাকুরি গ্রহণ করেন। যার মাধ্যমে সে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছেন। তাই আসামি কোনো অনুকম্পা পেতে পারে না।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে মামলাটি দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল হয়। ওই বছরই আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন।