ট্রলার ডুবিতে নিহত জেলে পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্তদের অনুদান প্রদান
ভোলা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে মাছ ধরার ট্রলার আম্মাজান-২ ডুবির ঘটনায় নিহত ১০ জেলের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে চরফ্যাসন উপজেলা হল রুমে সরকারি ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতের পরিবারের নিকট এ অর্থ তুলে দেন ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন, উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় জেলেসহ উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণকে আরোও সচেতন হতে হবে। আমরা জেলেদের ট্রলার ডুবির ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি কমিটি গঠন করেছি। নিষেধ করা সত্বেও কেনো জেলেরা সমুদ্রে গিয়েছে এবিষয়টিও বিশ্লেষণ করা হবে।
চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, এই ২৫ হাজার টাকার পাশাপাশি নিহত যে সকল জেলের জেলে কার্ড রয়েছে তাদেরকে মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে আরও এক লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
এদিকে ট্রলার ডুবির ঘটনায় গতকাল রাতেই উদ্ধারকৃত ৯ জেলের লাশ বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জ থানা থেকে চরফ্যাসনে পাঠানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তাদেরকে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। নিহত জেলেরা চরফ্যাসন দুলারহাট থানার নীলকমল, নুরাবাদ আহাম্মদপুর ও চরফ্যাসন সদর থানার আব্দুল্লাহপুর এবং আবুবকরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
নিহত জেলেরা হলেন কামাল দালাল (৩৫) আব্বাস মুন্সি (৪৫) হাসান মোল্লা(৩৮) রফিক বিশ্বাস(৫৫) নুরনবী বেপারী(৩০) মফিজ মাতব্বর(৩৫) নজরুল ইসলাম(৩৫) কবির হোসেন(৪০) মোঃ বিল্লাল(৩২) ও খোরশেদ আলম(৪০)।
প্রসঙ্গত, গত রোববার ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের মধ্যে চাঁদপুর জেলার মৎসঘাট থেকে মাছ বিক্রি করে উত্তাল মেঘনা নদী দিয়ে চরফ্যাসন উপজেলায় আসছিল ২৪ জেলে। দুপুরের দিকে ভোলা ইলিশা পয়েন্টের মেঘনায় ঘূর্ণিঝড় ও প্রবল স্রোতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এরপর ওই দিন ১০ জেলেকে জীবিত ও এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গতকাল সোমবার রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে আরো ৯ জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও মোঃ নাসিম হাসেম নামে এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে।