সর্বশেষঃ

ভোলায় ট্রলারডুবিতে নিহত ১, নিখোঁজ ১৩

ভোলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ২৪ জেলেসহ ট্রলারডুবিতে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন ১৩ জন।

রোববার রাত সোয়া ৭টায় কোস্টগার্ড ডুবুরিরা এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করেন। এর আগে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ১০ জেলেকে। সোমবার সকালে ফের অভিযান শুরু করে ওই ডুবুরি দল।

পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, চরফ্যাশনের আবদুল্লাহপুরের তোফায়েল মাঝি ২৪ জেলে নিয়ে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায়। গত শুক্রবার তারা চাঁদপুরে মাছ বিক্রি করে। রোববার সকালে তারা চরফ্যাশনের উদ্দেশে রওনা দেন।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের জনতাবাজারসংলগ্ন মো. আলী প্রাইমারি স্কুলের কাছে মেঘনা নদীতে উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে ডুবে যায় ট্রলারটি।
উদ্ধারকৃত মরদেহটি ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলে ছিল।

জীবিত উদ্ধারকৃতরা হলেন- তোফায়েল মাঝি (৩৭), শামীম (২২), কালু (২৫), আমজাদ (২৮), জাকির হোসেন (৩৫), খায়রুল (২২), মো. হোসেন (২৬), আজাদ (৩৮)। অপর দুজনের নাম জানা যায়নি। এদের উদ্ধারের পর চিকিৎসা দেয়া হয়।

নিখোঁজদের উদ্ধারে কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল গত রাত ১০টা পর্যান্ত কাজ করে। সোমবার সকালে ফের অভিযান শুরু করে ওই ডুবুরি দল।

অন্যদিকে তীব্র জোয়ার ও টানা বৃষ্টিতে জেলা শহরের কালীবাড়ি সড়ক এলাকাসহ বহুস্থানে ঘরবাড়িতেও পানি প্রবেশ করেছে। ডুবে গেছে চরাঞ্চল। জেলার ১০০ ব্রিকফিল্ড ডুবে যাওয়ায় প্রায় ৫০ কোটি টাকার কাঁচাইট ও ইট তৈরির সরঞ্জাম বিনষ্ট হয়েছে।

সমুদ্রগামী ফিশিংবোট ডুবে যাওয়ার পর দুপুর থেকে নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও ডুবুরিয়া অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার।

ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান জানান, তারা অভিযান শুরু করে কয়েকজনকে উদ্ধার করেন। এদিকে অতি জোয়ারে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ।

অন্যদিকে বিভিন্ন কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া ৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষ দুপুরের পর থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। এদের দুপুর পর্যন্ত সরকারিভাবে খাবার বিতরণ করা হয়।

শনিবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ করেই প্রায় ৩০ মিনিটের ঝড়ে লালমোহন উপজেলার পিয়ারীমোহন গ্রামসহ আরও তিনটি স্থানে বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভোলার চরফ্যাশন সড়কে উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছ।

এ সময় ঘরচাপায় আহত হন ১২ জন। তাদের চরফ্যাশন ও ভোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম নামে এক ১২ বছরের শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে বরিশাল শেবাচিমে স্থানান্তর করা হয়। জোয়ারের পানিতে কয়েকটি চরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।