ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও শুকনো খাবার বিতরণ
চরফ্যাশনে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শণে এমপি জ্যাকব
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশিভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নে গতকাল রাতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে ৮টি ঘর ভেঙ্গে যায় এসময় বেশ কয়েকজনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়। (রোববার ১০নভেম্বর) বেলা ১১টায় স্থানীয় সাংসদ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শণ করেন। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ ও শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে গতকাল রাত ৯টায় মুশুলধারে ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আব্দুল মোতালেব ও তার ছেলে মামুন ও বিল্লালের ৩টি ঘরসহ পাশের বাড়ির আব্দুল মুনাফের বসত ঘরটিও বিধ্বস্ত হয়। এসময় ওই এলাকার রাস্তার গাছপালাও উপড়ে পরেছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মুন্না।
এছাড়াও চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, কুকরি-মুকরি, চর নিজাম,মনপুরা উপজেলার চরমোজাম্মেল ও কলাতলির চরের নিন্মাঞ্চল এলাকা গতকাল রাত ৪ টার দিকে প্লাবিত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে যানা যায়। এওয়াজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৭নং ওয়ার্ডের ৮টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় এলাকার রাস্তাঘাটের অনেক গাছপালা উপরে পরে বলেও জানান তিনি।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন ফোনে জানান, এওয়াজপুর,চর কলমি ও ওসমানগঞ্জের বেশকিছু বাড়িতে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হয়েছি এবং আমরা উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের সকল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছি।
হতাহতের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সিরাজ উদ্দিন বলেন, লালমোহনের উপজেলার কয়েকজন চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, আর চরফ্যাশন উপজেলার হতাহতদের আমাদের মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে তাদের প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট দিয়েছে এছাড়াও আমরা প্রত্যেক ইউনিয়নে যোগাযোগ করছি।