লালমোহনে দাফনের ৯ দিন পর প্রতিবেশির মারধরে বৃদ্ধের মৃত্যুর অভিযোগ
দৌলতখানে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে স্বেচ্ছাসেবীদের প্রচারণা
![](https://bholarbani.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ভোলাসহ উপকূলের ৯ জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এরই মধ্যে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঘূর্ণীঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় দৌলতখান উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৯৫ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৬ টি কন্টোলরুম খোলা হয়েছে। জনগনকে সচেতনতায় ঘূর্ণীঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপির) উদ্যোগে মাইকিং (প্রচার) করে সর্তকীকরণ করা হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ছুটছে মানুষ। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। প্রশাসনের উদ্যোগে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল থেকে লোকজনকে মূল ভুখন্ডের আশ্রয়কেন্দ্রেগুলোতে উঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণীঝড় প্রভাবে সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে উঠছে। অনেক জেলে নৌকা নদীর তীরে চলে আসতে শুরু করেছেন। মেঘলা আবহাওয়ায় চারিদিকে শুনশান নিরবতা। বাজার কিংবা রাস্তা-ঘাট মানুষের আনা-গোনা কমতে শুরু করেছে। রাত যত গভীর হবে সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক তত বিরাজ করবে। আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আসার জন্য চলছে প্রশাসন কর্তৃক সতর্কতামূলক মাইকিং। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। আবহাওয়ার এহেন অবস্থায় স্থানীয় লক্ষাধিক মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তথ সংলগ্ন পুর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণীঝড় ‘বুলবুল’ আরো উত্তর দিকে অগ্রসর ও গুনিভুত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণীঝড় আকারে অবস্থান করে এগিয়ে আসছে। ঘূর্ণীঝড় প্রবল হওয়ায় ভোলায় বিপদ সঙ্কেত ৭ নম্বর থেকে বাড়িয়ে ১০ নম্বর করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এতে করে নড়েচড়ে বসেছে উপজেলা প্রশাসন। রাত যতই ঘনিয়ে আসবে এলাকার মানুষের মাঝে আতংক ততই ঘনীভূত হবে। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, এখনো পর্যন্ত বাড়িতেই আছি। তবে অবস্থা বেশী খারাপ মনে হলে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন বলে জানান। এব্যাপারে দৌলতখান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জীতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, ঘূর্ণীঝড় মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুতি মূলক সভা করেছি। বিচ্ছিন্ন চরগুলো থেকে মানুষকে নিরাপদে নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও সিপিপি মাইকিং করছে। কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। এছাড়া মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।